ছোট নাতনিকে সাথে নিয়ে কোরবানির ঈদ উদযাপন করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এরই মধ্যে তার কনিষ্ঠপুত্র প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর ছোট কন্যা বিদেশ থেকে চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় পৌঁছেছেন।
এর আগে কারাবন্দি অবস্থায় থাকা এবং দেশে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি কারণে গত কয়েক বছর খালেদা জিয়া নাতনিদের সাথে ঈদ উদযাপন করতে পারেননি।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রেস উইং ও বিএনপি’র মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গুলশানের বাসায় ঈদ করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর দুই মেয়ে খালেদা জিয়ার বাসবভনে রয়েছেন। তবে বড় নাতনি চলে যাবেন।
এছাড়া দলের স্থায়ী কমিটির অধিকাংশ সদস্যও ঢাকায় ঈদ করবেন। ওইদিন সন্ধ্যার পরে দলীয় চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে তাদের।
এছাড়া দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক যুগেরও বেশি সময় ধরে লন্ডনে অবস্থান করছেন। তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান, কন্যা জাইমা রহমান ও ছোট ভাই প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি লন্ডনে ঈদ করবেন।
শায়রুল কবির খান নয়া দিগন্তকে জানান, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান ও বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ঈদের দিন ঢাকায় থাকবেন।
ড. আব্দুল মঈন খান জাতিসঙ্ঘের একটি সেমিনারে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তিনি সেখানেই ঈদ করবেন। ঈদের পর তার ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এরই মধ্যে তার নিজ নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম চলেছেন। তিনি চট্টগ্রামে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু তার নিজ নির্বাচনী এলাকায় ঈদের নামাজ আদায় করবেন এবং সেখানেই কোরবানি দেবেন। ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া অনেক দিন ধরে অসুস্থ। তিনি বাসায় রয়েছেন তার সুস্থতার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়া চাওয়া হয়েছে।
মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকার উত্তরার একটি মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। ঈদের পরে নিজ নির্বাচনী এলাকা ঠাকুরগাঁও যাওয়ার কথা রয়েছে। তবে, ঈদের নামাজ শেষে বেলা সাড়ে ১১টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন দলটির শীর্ষ নেতারা।
স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ দীর্ঘদিন ভারতে আছেন। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে সেখানে তার বিরুদ্ধে মামলা চলছে। তিনি জামিনে থাকলেও (ভারত) দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাকে এবারো ভারতে ঈদ করতে হচ্ছে।
ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান তার নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম ঈদ করবেন। এছাড়া মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও শামসুজ্জামান দুদু ঢাকায় ঈদের নামাজ আদায় করবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম ঢাকাতে ঈদ করবেন। এছাড়া জয়নুল আবদিন ফারুক ও হাবিবুর রহমান হাবিব তাদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় ঈদ করবেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঢাকায় ঈদের নামাজ আদায় করবেন। এছাড়া যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন ঢাকায় ঈদের নামাজ পড়বেন। মজিবুর রহমান সরোয়ার ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন তাদের নিজ নির্বাচনী এলাকায় ঈদ করবেন। যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেল ঢাকায় ঈদ করবেন।
ঢাকা দক্ষিণ বিএনপি’র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন ঢাকায় ঈদ করবেন।
বিএনপির দলীয় ছয়জন সংসদ সদস্যের মধ্যে পাঁচজন নিজ নিজ এলাকায় ঈদ করবেন। তবে, সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ঈদের দিন ঢাকায় থাকবেন।
বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ, গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, মোশাররফ হোসেন, আমিনুল ইসলাম, উকিল আব্দুস সাত্তার, জাহিদুর রহমান নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন।
এছাড়া যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল হজ করার জন্য সৌদি আরব অবস্থান করছেন। তারা দু’জন সেখানেই ঈদ করবেন। ছাত্রদলের সভাপতি রওনকুল ইসলাম শ্রাবন ঢাকায় এবং সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল ঢাকায় ঈদ করবেন।