বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ পরিত্যক্ত

Slider খেলা


বৃষ্টিতে ভেস্তেই গেল বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচটি। বিলম্বে মাঠে গড়ানো ম্যাচটি ১৬ ওভারে নেমে এলে টস হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। তবে পরবর্তীতে আরও এক দফা বৃষ্টি হলে ম্যাচ নেমে আসে ১৪ ওভারে। কিন্তু টাইগারদের ইনিংসের ১৩তম ওভার শেষে ফের বৃষ্টি নামলে ভেজা আউটফিল্ড ম্যাচ পরিচালনার উপযোগী নয় বিবেচনায় ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।

ডমিনিকার উইন্ডসর পার্কে ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তনটা খুব একটা সুখকর হলো না বৃষ্টিবাধায়। ১৬ ওভারে নেমে আসা ম্যাচের আট ওভার হতে না হতেই হানা দিয়েছিল বৃষ্টি। তাতে ওভার কমে আরও দুই ওভার। তবে শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি পরিত্যক্ত হল। এদিন ১৪ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে বাংলাদেশ শুরুতেই হারায় মুনিম শাহরিয়ারের উইকেট। তবে সাকিব-বিজয়ের ব্যাটে বড় সংগ্রহেরই পথে এগুচ্ছিল টাইগাররা। মাত্র ৩.৩ ওভারে ৩৬ রান তুলে ফেলেন দুজনে।

তবে ১৬ রান করে বিজয়ের বিদায়ের পর ছন্দপতন বাংলাদেশের ইনিংসে। লিটন দাস ১৪ বলে ৯, অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৮ রান করে বিদায় নেন। আফিফ হোসেন তো রানের খাতাও খুলতে পারেননি।
দিন ব্যাটটাকে তরবারিতে পরিণত করে কচুকাটা করছিলেন সাকিব। কিন্তু ওয়ালশের বলে স্লগ করতে গিয়ে ডেভন স্মিথের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ১৫ বলে ২ চার ২ ছয়ে ২৯ রান করেন সাকিব।

বাংলাদেশ দলের ইনিংস ১০০ পেরোয় মূলত সোহানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে। বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে ১৬ বলে ১ চার ও ২ ছয়ে ২৫ রান করেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। স্মিথের বলে ব্রেন্ডন কিংয়ের হাতে ধরা পড়েন তিনি। তার বিদায়ের পর ফের বৃষ্টি এলে দ্বিতীয় দফায় থেমে যায় ম্যাচ।

২০০৭ সালে নির্মিত উইন্ডসর পার্ক, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ-উইন্ডিজ ওয়ানডে ম্যাচের মধ্য দিয়ে। অধিনায়ক সাকিবের নেতৃত্বে সে ম্যাচেই জয় তুলে নেয় লাল-সবুজরা। উইন্ডসর পার্কে এখন পর্যন্ত দুই ম্যাচ খেলা টাইগাররা জয় তুলে নিয়েছে দুটিতেই। যদিও এই ভেন্যুতে এখনো টি-টোয়েন্টি সংস্করণের কোনো ম্যাচ খেলা হয়নি।

২০১৭ সালে প্রলয়ংকরী হারিকেনে উইন্ডসর পার্ক পরিণত হয়েছিল ধ্বংসস্তূপে। এরপর আবারও স্টেডিয়ামটিকে খেলার উপযুক্ত করা হয়েছে। এখানে সিরিজের প্রথম দুটি টি-টোয়েন্টি খেলবে সফরকারী বাংলাদেশ।

ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ক্যারিবিয়দের সাফল্য সকলেরই জানা। মুখোমুখি লড়াইয়েও এগিয়ে স্বাগতিকরা। সবশেষ পাঁচ লড়াইয়ে বাংলাদেশের জয় দুই ম্যাচে। বাকি তিন ম্যাচেই জয়ের দেখা পেয়েছে টি-টোয়েন্টির সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে টাইগাররা খুব বেশি টি টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়নি। পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনিটি ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলে পাঁচ ম্যাচে মাত্র একটি জয় পেয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল।

বাংলাদেশের একাদশ-
মুনিম শাহরিয়ার, লিটন দাস, এনামুল হক বিজয়, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), শেখ মেহেদী হাসান, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান ও নাসুম আহমেদ।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ-
কাইল মেয়ার্স, ব্রেন্ডন কিং, শামার ব্রুকস, নিকোলাস পুরান (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), রভম্যান পাওয়েল, ডেভন থমাস, ওদিন স্মিথ, রোমারিও শেফার্ড, আকিল হোসেন, ওবেদ ম্যাকয় ও হায়ডেন ওয়ালশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *