আপনাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গৃহবন্দী, আর আপনারা পানিবন্দী। জনগণের নেত্রী যখন বন্দী থাকেন, তখন আপনাদের এই দুঃখ-দুর্দশা দেখার মতো সরকার দেশে থাকবে না সেটাই স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে যাতে এই অঞ্চলের মানুষের এই ধরনের ভয়াবহ বন্যা মোকাবেলা করতে না হয় তার জন্য স্থায়ী সমাধান করতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। অর্থাৎ নদীর উৎস মুখ থেকে ভাটি অঞ্চল পর্যন্ত পানির প্রবাহ ঠিক রাখতে নদী ও খাল খনন করতে হবে এবং কোথাও কোথাও টেকসই বাঁধ নির্মাণ করতে হবে; যাতে বিশাল এলাকা তলিয়ে না যায়। আমি আশা করি, আগামীতে জনগণের সরকার ক্ষমতায় গেলে অর্থাৎ বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এই অঞ্চলের বন্যা মোকাবেলা স্থায়ী সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নেবে।
শনিবার বাংলাদেশ নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে বন্যাকবলিত সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরাঙ্গ ইউনিয়নের লালপুর বাজারে বন্যাদুর্গত নারী ও শিশুদের মাঝে আর্থিক সহায়তা তুলে দেয়ার পর তিনি এসব কথা বলেন।
নারী ও শিশুদের মাঝে অর্থ সহায়তা তুলে দেয়ার আগে আরো বক্তব্য রাখেন নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী, সদস্য সাবেক এমপি বিলকিস ইসলাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলন, আসিফ আলতাফ, জেলার সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, বিএনপি নেতা আব্দুল লতিফসহ স্থানীয় নেতারা।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আজ আমরা আপনাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। কারণ, বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় নারী ও শিশুরা। আমরা আগামী সোমবার পর্যন্ত সুনামগঞ্জ ও সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় আমাদের সামর্থ অনুযায়ী তাদের অর্থ সহায়তা দেব।
দেশের ৪০ শতাংশ মানুষ আজ পানিবন্দী জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, তাদের পাশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেই। আসলে এই সরকার জনগণের সরকার নয়। তাই, জনগণের দল হিসেবে বিএনপি আপনাদের পাশে আছে এবং থাকবে।
তিনি বলেন, সেজন্য বলব, আর নয় কান্না। এবার আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সরকারের সকল অন্যায় অত্যাচারের প্রতিবাদে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। লুটপাটকারী সরকারকে দেশ থেকে বিতাড়িত করতে হবে। আগামী দিনে আপনাদের পছন্দ মতো নির্বাচিত সরকার গঠন করবেন।