ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি এখনো সামাল দেয়া সম্ভব হয়নি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জেলা সিলেটে। বন্যার পানি ধীরে ধীরে নামলেও এখনো অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন। বুধবার (২৯ জুন) থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে সিলেটে।
এরইমধ্যে বন্যায় সিলেটে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠিয়েছে সিলেট জেলা প্রশাসন। বুধবার (২৯ জুন) সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টিতে আবার বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন সিলেটে বৃষ্টি হতে পারে। ভারতে বৃষ্টি হলে সিলেটের দিকে পাহাড়ি ঢল নামবে। এতে আবারও পানি বাড়ার শঙ্কা আছে।
সিলেট নগরীর উপশহর এলাকার বাসিন্দা ফয়ছাল আহমদ জানান, সিলেটে ১২২ বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। এবারের হঠাৎ বন্যায় থমকে যায় সিলেট অঞ্চল। কেবল খাদ্য, পানি ও আশ্রয়ের সংকটই ছিল না; বিদ্যুৎ সংকট মারাত্মক রূপ নিয়েছিল, বন্ধ হয়ে গিয়েছিল মোবাইল নেটওয়ার্ক। চার্জ নিতে না পারায় অনেকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারেননি।
তিনি আরও বলেন, এবারে বন্যা আমাদের সবকিছু নষ্ট করে গেছে। ঘরের আসবাবপত্র, ফার্নিচার বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। বর্তমানে অন্যের বাসায় থাকতে হচ্ছে। কবে বন্যার পানি নেমে যাবে, সেই তথ্যও জানা নেই। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ নেই। এবারের বন্যায় সিলেটের উপজেলাগুলোতে অনেকের ঘরেবাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। অনেকের ঘরবাড়ির অবস্থা এতো খারাপ হয়েছে, যে বসবাসের উপযোগী নয়।
এদিকে সিলেটে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের জন্য সরকারের কাছে তালিকা পাঠিয়েছে সিলেট জেলা প্রশাসন।
এ বিষয়ে বুধবার (২৯ জুন) সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবুর রহমান বলেন, বন্যায় সিলেট জেলার প্রায় ৪০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার পানি এখনো পুরাপুরি নেমে যায়নি। তবে যেসব এলাকায় পানি নেমে যাচ্ছে, সেসব এলাকায় ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তালিকা পাঠানো হয়েছে।
এই বিষয়ে অনুদান আসলে যত সম্ভব তাড়াতাড়ি তা সবার কাছে তা পৌঁছে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।