পদ্মা সেতুতে বিশেষ নজর ভারতের

Slider সারাবিশ্ব


বহু প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু ২৫ জুন উন্মুক্ত করা হয়েছে। এদিন প্রতিবেশী ভারতের গণমাধ্যমগুলোর বেশিরভাগেরই আগ্রহের কেন্দ্রে ছিল সেতুটি। বাণিজ্যিক কারণে ভারতও এই সেতুটিতে বিশেষ নজর দিয়েছে। প্রথমত, এই সেতুর কারণে ঢাকা-কলকাতা যাতায়াত সহজ হবে। দ্বিতীয়ত, ভারত মোংলা বন্দর ব্যবহারে সুবিধা পাবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পদ্মার ওপর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রেল ও সড়ক সেতু নির্মাণের মাধ্যমে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পদ্মা সেতু আগামী ২০২৩ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বাড়তি সুবিধা এনে দেবে।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীরা গুম ও নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করলেও সমালোচকরা তার (শেখ হাসিনা) অর্থনৈতিক ও মানবসম্পদ উন্নয়নের ধারাবাহিকতার কথা স্বীকার করে নেন।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমানের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, পদ্মা সেতুর মাধ্যমে ঢাকার সঙ্গে মোংলা বন্দর ও দক্ষিণের জেলাগুলোকে যুক্ত হলো। এতে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ২ শতাংশ বাড়াবে।

দ্য হিন্দু, হিন্দুস্তান টাইমস ও রিপাবলিক টিভি পদ্মা সেতুর উদ্বোধন নিয়ে তাদের অনলাইন সংস্করণে খবর প্রকাশ করেছে। এ উপলক্ষে ভারতীয় হাইকমিশন থেকে বাংলাদেশ সরকারকে যে অভিনন্দন বার্তা পাঠানো হয়েছে, তার কথা খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।

হিন্দুস্তান টাইমসের ভিডিও প্রতিবেদনে ঢাকা ও কলকাতার মধ্যে রেলপথে দূরত্ব অর্ধেক কমিয়ে দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ছাড়া সংবাদ সংস্থা পিটিআয়ের ঢাকা সংবাদদাতার পাঠানো খবর একাধিক ছবিসহ প্রচার করেছে এনডিটিভি।

এদিকে পদ্মা সেতু বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এবং উপ-অঞ্চলের মধ্যে সংযোগ বাড়াবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।

বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, বাংলাদেশ সরকার নানা ‘প্রতিকূলতার’ মধ্যেও এ প্রকল্পটি ‘সফলভাবে’ সম্পন্ন করেছে। আমি এ অঞ্চলে আরও অনেক বেশি বাণিজ্য এবং ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে সহজে যোগাযোগ ও ভ্রমণের সুযোগ দেখতে চাই।

দুই বন্ধুরাষ্ট্র বাংলাদেশ ও ভারত আগামীতেও পরস্পরের সঙ্গী হয়ে উন্নয়নের পথ চলবে বলে আশা প্রকাশ করেন দোরাইস্বামী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *