ফুলছড়ি (গাইবান্ধা): গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার কারণে ভাঙনে উপজেলার পিপুলিয়া, বাগবাড়ী, দেলুয়াবাড়ী, বানিয়াপাড়া ও মধ্য উড়িয়া গ্রামের অন্তত দুই শতাধিক পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে এখন গৃহহীন। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন তারা।
উজানের ঢল ও ভারী বর্ষণে ব্রহ্মপুত্রের পানি বেড়ে নদের কোলঘেঁষা উপজেলার উড়িয়া, গজারিয়া, ফুলছড়ি, ফজলুপুর ও এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সেইসঙ্গে শুরু হয়েছে ভাঙন। নতুন করে ভাঙনে ফুলছড়ি ইউনিয়নের পিপুলিয়া, বাগবাড়ী, দেলুয়াবাড়ী, উড়িয়া ইউনিয়ন মধ্য উড়িয়া গ্রামের দুই শতাধিক পরিবার বসতভিটা হারিয়ে দিশেহারা।
ভুক্তভোগী শেফালী বেগম বলেন, ‘এভাবে নদী ভাঙন আগে কোনোদিন দেখিনি। ছেলেমেয়ে, গবাদিপশু আর কিছু আসবাবপত্র ছাড়া সব নদীতে ভেসে গেছে। বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছি, কিন্তু ছেলেমেয়েদের কী খাওয়াব সেই চিন্তায় আছি। সব তো ভেসে গেছে, শুকনো খাবারের প্রয়োজন, কিন্তু তার ব্যবস্থা নেই।’
বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পাশে বসবাসকারী আব্দুল ওয়াজেদ মিয়া বলেন, ‘ভাঙন কবলিত তিনটি পরিবারকে তাৎক্ষণিক বাড়ির আঙিনায় আশ্রয় দিয়েছি। সরকার তাদের শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করলে ভালো হতো।’
ব্রহ্মপুত্রের পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার নিম্নাঞ্চল। ছবি : আমাদের সময়
ফুলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াররম্যান আজহারুল হান্নান বলেন, গত তিনদিনে চরাঞ্চলের পিপুলিয়া, বাগবাড়ী ও দেলুয়াবাড়ী গ্রামের অনেক পরিবার ভাঙনের কবলে পড়ে গৃহহীন হয়েছে। তাদের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, শুকনো খাবারের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে বন্যা ও নদী ভাঙনের শিকার লোকজনের তালিকা চাওয়া হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা হবে।