আজ আন্তর্জাতিক যোগ দিবস। সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি হিসেবে ইয়োগা বা যোগের গুরুত্ব অনেক। তাই প্রতি বছর ২১ জুন বিশ্ব ইয়োগা বা যোগ দিবসটি পালিত হয়।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, প্রাচীনকাল থেকেই ভারতের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ যোগ। বিভিন্ন রোগ ঠেকাতে, শরীর ভালো রাখতে এবং নিয়মিত শরীরচর্চা করতে তারা ভরসা রাখতেন যোগব্যায়ামের ওপর। বর্তমান সময়ে এর উপকারিতা ও গুরুত্ব বেশি হওয়ায় ভারতের এই প্রাচীন জ্ঞান এখন বিশ্বের অন্য দেশগুলোতেও আপন করে নেওয়া হচ্ছে।
‘যোগ’ শব্দটি দুটি সংস্কৃত শব্দ ‘য়ুজ’ এবং ‘য়ুজির’ সমন্বয়ে গঠিত। যার অর্থ ‘এক সঙ্গে’ বা ‘একত্র হওয়া’। তাই যোগের অর্থ বোঝায় আত্মা, মন এবং শরীরের সমন্বয়। চিন্তা ও কর্মের একতা প্রকাশ করে সৃষ্টিকর্তা বা আধ্যাত্মিক বিষয়ে চিন্তা করাও যোগের একটি প্রধান উদ্দেশ্য।
আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের সূচনা কয়েক বছর আগে। ভারতে ২০১৪ সালের ১১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ২১ জুনকে ‘আন্তর্জাতিক যোগ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপর ২০১৫ সালে সালে প্রথম সারা বিশ্বে এই দিবসটি উদযাপন হয়েছিল। প্রাচীন ভারতীয় অনুশীলন যোগাসনের বহুবিধ উপকারকে স্বীকৃতি দিয়ে গোটা বিশ্বে ২১ জুন ‘যোগ দিবস’ পালিত হয়।
মহামারি চলাকালীন আয়োজিত গত বছরের আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের থিম ছিল “সুস্থতার জন্য যোগ”। তবে অষ্টম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে এবারের ২০২২ সালের থিম নির্ধারণ করা হয়েছে- “মানবতার জন্য যোগ”।
এই প্রতিপাদ্যের মাধ্যমে যোগাসনের গুরুত্বসহ কোভিড মহামারির সর্বোচ্চ পর্যায়ে কীভাবে দুঃখ-কষ্ট দূর করতে যোগ বড় ভূমিকা রাখে সেসব কথাও ছুঁয়ে গেছে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, এবিপি লাইভ, বোল্ড স্কাই।