হাত বাড়লেই খালেদ আহমেদের করা বলে স্লিপে ধরা পড়তেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটার এনক্রুমাহ বোনার। কিন্তু বাংলাদেশ দলের ফিল্ডার নাজমুল হোসেন কোনো রকম চেষ্টা না চালিয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন নিজের জায়গায়। বোনারকে অবশ্য বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হতে দেননি টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। দ্বিতীয় দিনের ১৫তম ওভারে এসে বোল্ড করেন এই ক্যারিবীয় ব্যাটারকে।
অ্যান্টিগায় সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ১০৩ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিনের মতো শুক্রবার (১৭ জুন) ব্যাট করছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৩ উইকেট হারিয়ে ক্যারিবীয়দের সংগ্রহ ১৪১ রান। ৬২ রান করে একপ্রান্তে অপরাজিত আছেন ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। অপরপ্রান্তে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন ৪ রান করা জার্মেইন ব্লাকউড।
প্রথম দিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ দল। পরক্ষণে এক সেশনেই ৮ উইকেট হারানো টাইগার বল হাতে দেখেন মুদ্রার উল্টো পিঠ। ফিল্ডিংয়ে তাদের ধৈর্য্যের পরীক্ষা নেন ক্যারিবীয় ব্যাটাররা। এর মধ্যে আবার ফিল্ডাররা তিন ক্যাচ মিস করে স্বাগতিক ব্যাটারদের শক্তি অক্ষুণ্ন রাখে। প্রথম দিন জীবন পাওয়া ব্র্যাথওয়েট দ্বিতীয় মাঠে নেমে হাঁকিয়েছেন ফিফটি।
অনেক সংগ্রামের পরে দিনের ১৫তম ওভারে এসে বাংলাদেশকে উইকেট এনে দেন অধিনায়ক সাকিব। তার করা ইনিংসে ৬৩ ওভারের শেষ বলে লাইন মিস করে বোল্ড আউট হন বোনার। সাজঘরের ফেরার আগে এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে আসে ৯৬ বল মোকাবিলায় ৩৩ রান। এই ব্যাটার অবশ্য আউট হতে পারতেন ব্যাক্তিগত ২২ রানে। কিন্তু খালেদ আহমেদের করা দিনের দশম ওভারে ব্যাটের কানায় লেগে স্লিপে দাঁড়ানো শান্তর পাশ দিয়ে গেলেও, তিনি হাত বাড়িয়ে ধরার চেষ্টা করেননি। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছিল তিনি বলটিই দেখতে পাননি।
এর আগে প্রথম দিন স্বাগতিক দলের দুটি উইকেট শিকার করেন মুস্তাফিজুর রহমান ও এবাদত হোসেন। ২৪ রান করে জন ক্যাম্পবেল ও ১১ রান করে সাজঘরে ফেরেন রাইমন রাইফার। ইনিংসের ২৬তম ওভারে মুস্তাফিজের বলে বোল্ড হন ক্যাম্পবেল। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ক্যারিবীয়দের ২৮ রানের জুটি ভেঙে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় উইকেট এনে দেন পেসার এবাদত হোসেন। তার করা ইনিংসের ৩৪তম ওভারে সুইংয়ে কাবু হয়ে উইকেটকিপারের হাতে বল তুলে দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন রাইমন রাইফার।
এর আগে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ৫১ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে শেষ পর্যন্ত শত রান পার করে সফরকারীরা। ক্যারিবীয় বোলারদের মধ্যে ৩টি করে উইকেট শিকার করেন আলজারি জোসেফ ও জেইডন সিলস। দুটি করে উইকেট শিকার করেন কেমার রোচ ও কাইল মায়ার্স।
সাকিবের ফিফটি ছাড়া এদিন ব্যাট হাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন অন্য ব্যাটাররা। বলা মতো স্কোর ছিল শুধু তামিম ইকবালের করা ২৯ রান। তৃতীয় সর্বোচ্চ ১২ রানের ইনিংস খেলেন লিটন কুমার দাস। বাকিরা কেউ স্পর্শ করতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘর। শূন্য রানের লজ্জায় ডোবেন ছয় টাইগার ব্যাটার।