চলতি বছরের মতো আগামী অর্থ বছরেও চিনি রপ্তানিতে সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে ভারতীয় সরকার। অভ্যন্তরীণ বাজারে সরবরাহ সচল ও মূল্য ঠিক রাখতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দেশটির শিল্প ও সরকারি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। খবর দ্য ইকোনমিক টাইমসের।
জানা গেছে, বিশ্বের শীর্ষ চিনি রপ্তানিকারক দেশটি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে (অক্টোবর-সেপ্টেম্বরে) পণ্যটির রপ্তানি সীমা ৬০ থেকে ৭০ লাখ টন করতে পারে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ভারত এমন সিদ্ধান্ত নিলে সাদা চিনির দাম আরও বেড়ে যেতে পারে। এরই মধ্যে পণ্যটির দাম আগের তুলনায় বেড়ে গেছে।
চলতি বছরের মে মাসে গম রপ্তানি নিষিদ্ধের পর চিনি রপ্তানিতে সীমা বেঁধে দেয় ভারত সরকার। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে পণ্যটির রপ্তানি এক কোটি টনে সীমাবদ্ধ রাখে দেশটি।
বিশ্বের বৃহত্তম চিনি উৎপাদক ভারত, রপ্তানিতে তাদের অবস্থান কেবল ব্রাজিলের পেছনে। ভারত বিশ্বের অন্তত ১২১টি দেশে চিনি রপ্তানি করলেও তাদের প্রধান ক্রেতা ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, সুদান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
বাংলাদেশের মোট চাহিদার তুলনায় চিনির উৎপাদন অতি নগন্য। প্রায় ৯৬ শতাংশ চিনিই আমদানি করে মেটাতে হয় চাহিদা। অপরিশোধিত চিনির একটি বড় অংশই আসে ভারত থেকে। চলতি অর্থবছরে মোট আমদানির ৪৯ শতাংশের বেশি অপরিশোধিত চিনিই এসেছে ভারত থেকে।