সিলেটে আবারও বন্যা, আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষ

Slider সিলেট


সিলেট: টানা বৃষ্টি ও মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের নিম্নাঞ্চলে দ্বিতীয় দফায় বন্যা দেখা দিয়েছেটানা বৃষ্টি ও মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের নিম্নাঞ্চলে দ্বিতীয় দফায় বন্যা দেখা দিয়েছে

টানা বৃষ্টি ও মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের নিম্নাঞ্চলে দ্বিতীয় দফায় বন্যা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে সুরমা, পিয়াইন ও কুশিয়ারাসহ জেলার সবকটি নদীর পানি বেড়েছে। নদীর পানি উপচে সিলেটের গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে হাজারো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। হু হু করে পানি বাড়ায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন মানুষজন। পানি ঢুকে পড়েছে নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘর, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।

সিলেট আবহওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘আগামী ১০ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সিলেটে প্রচুর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে ১৪-১৫ এবং ১৭-১৯ জুন ভারী বর্ষণ হতে পারে। বাকি দিনগুলোতে থেমে থেমে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এবং ২৩ জুন পর্যন্ত এ অবস্থা চলতে পারে।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় তলিয়ে গেছে ফসলি জমি ও মাছের খামার। গ্রামীণ অনেক রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। বিকল্প মাধ্যম হিসেবে নৌকা ব্যবহার করছেন স্থানীয়রা। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

এদিকে, গোয়াইনঘাট উপজেলার বেশ কয়েকটি সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। উপজেলা সদর, পূর্ব ও পশ্চিম জাফলং, মধ্য জাফলং, পূর্ব ও পশ্চিম আলীরগাঁও, রুস্তপুর, তোয়াকুল ও লেঙ্গুড়া ইউনিয়নের ৯০ শতাংশ এলাকা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিলুর রহমান বলেন, ‘এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় বন্যায় বিপুল সংখ্যক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বন্যাকবলিত এলাকায় ৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে পানিবন্দি মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *