মাথা ঠান্ডা রাখার উপদেশ সবাই দিয়ে থাকেন, কিন্তু সব পরিস্থিতিতে তো মাথা ঠিক রাখা যায় না। আর রাগের মাথায় মানুষ অনেক সময় এমন কিছু বলে ফেলে বা করে ফেলে যার জন্য সারাজীবন আফসোস করেও কোনো লাভ হয় না। একবার মাথা গরম হলে তখন আর কোনো কিছুই কন্ট্রোলে থাকে না, যতক্ষণ না মাথা ঠান্ডা হয়।
কেউ কেউ হঠাৎ রেগে যান, মাথা গরম হয়ে যায় অল্পতেই। আবার অনেকের রাগটা ধীরে ধীরে ওঠে। কিন্তু রাগলে পৃথিবী ওলটপালট করে দিতে পারার ক্ষমতা অনেকেই রাখেন। এতে কার কী উপকার হয় জানা নেই। তবে যিনি রাগেন, ক্ষতিটা তারই হয়। এক্ষেত্রে নারী না কি পুরুষ তা হিসেব করে লাভ হয় না।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, গরম আবহাওয়াও মানুষকে বদমেজাজি করে তোলে এবং তখন মানুষ অসহিষ্ণু হয়ে যায়। এটাও মাথা গরমের অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হয়। তবে প্রশ্ন হচ্ছে নারী না পুরুষ কাদের মাথা বেশি গরম থাকে? এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চললেও, কাদের মস্তিষ্কের উষ্ণতা বেশি তা কিন্তু নিশ্চিত করে বলে দিতে পারে বিজ্ঞান। অদ্ভুত শোনালেও সত্যি।
এদিকে ক্যামব্রিজের মলিকিউলার বায়োলজির একদল গবেষকের সাম্প্রতিক একটি গবেষণা বলছে, গড়ে পুরুষদের তুলনায় নারীদের মস্তিষ্কের উষ্ণতা বেশি থাকে।
২০ থেকে ৪০ বছর বয়সি ৪০ জন নারী-পুরুষের উপর করা এই গবেষণাটি বলছে, পুরুষদের তুলনায় গড়ে প্রায় ০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি উষ্ণ থাকে নারীদের মস্তিষ্ক। সব মিলিয়ে মানুষের মস্তিষ্কের ভেতরের অংশের উষ্ণতা সর্বোচ্চ ৪০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে বলে দাবি গবেষকদের।
তবে ঠিক কী কারণে এমন হয় তা নিয়ে নিশ্চিত নন গবেষকরা। তাদের অনুমান এই উষ্ণতার সঙ্গে পিরিয়ডের সম্পর্ক থাকতে পারে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, ডিম্বস্ফুটন বা ওভিউলেশন প্রক্রিয়ার পর মস্তিষ্কের উষ্ণতার তুলনায় এই প্রক্রিয়ার আগে প্রায় ০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম থাকে নারীদের মস্তিষ্কের উষ্ণতা। তবে এ বিষয়টির সঙ্গে মেজাজ গরম করা না করার কোনো সম্পর্ক আছে কি না, তা নিয়ে কিছুই বলেননি গবেষকরা।