দেশে চলমান স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচনে সংসদ সদস্যরা (এমপি) নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন, যা স্পষ্ট আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য তিনজন এমপিকে চিঠি দিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
আজ ইসির উপ-সচিব মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এই চিঠি শরীয়তপুর-১ আসনের এমপি ইকবাল হাসান, ঝিনাইদহ-২ আসনের এমপি তাহজীব আলম সিদ্দিকী এবং ঝিনাইদহ-১ আব্দুল হাইয়ের কাছে পাঠানো হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচন চলমান রয়েছে। নির্বাচনে অনুসরণের জন্য নির্বাচনী আচরণবিধিমালা কার্যকর রয়েছে। এতে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের সমান অধিকারের বিষয় বর্ণিত আছে। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোন কোন এলাকায় আচরণ বিধিমালার ব্যত্যয় ঘটানো হচ্ছে বা প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। বিশেষ করে সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির অন্তর্ভুক্ত স্থানীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করছেন, যা আচরণবিধির সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন।
আচরণবিধি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকল সংসদ সদস্যকে উক্তরূপ বিধিবিধান সদয় অবগতির জন্য এখানে পুনরুল্লেখ করা হলো। আইন প্রণেতা সংসদ সদস্যগণের মাধ্যমে বা তাদের সংশ্লিষ্টতার কারণে আচরণবিধি লঙ্ঘনের মত ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিতও বটে। এরূপ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্য এড়াতে পারেন না। এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না বলে নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত আশাবাদী। এক্ষেত্রে কমিশন সংসদ সদস্যগণের ঐকান্তিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছে। তথাপিও কোনো কোনো ক্ষেত্রে এরূপ পরিস্থিতির উদ্ভব হলে, সে ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে কঠোর অবস্থানে যেতে হতে পারে।
সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে সংসদ সদস্যগণ সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ভোটার হলে তিনি কেবল তার ভোট প্রদানের জন্য নির্ধারিত ভোটকেন্দ্রে গমন করতে পারবেন এবং ভোট শেষে ভোটকেন্দ্র ত্যাগ করবেন। এ অবস্থায়, নির্বাচনী আচরণবিধি আপনি প্রতিপালন করবেন মর্মে নির্বাচন কমিশন আশা প্রকাশ করে।