টঙ্গীতে পারিবারিক কলহে স্বামীকে হত্যা, স্ত্রী আটক

Slider জাতীয়


গাজীপুরের টঙ্গীতে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। সোমবার (৯ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পূর্ব আরিচপুর ভূঁইয়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ মাসুদ।

৩৩ বছর বয়সী নিহত ফয়সাল আলম খান সিলেটের মো. রইছ আলী খানের ছেলে। তিনি পূর্ব আরিচপুর ভুঁইয়া পাড়া এলাকার মো. রফিকুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়ায় থেকে রং মিস্ত্রির কাজ করতেন।

আটক মোরশেদা খামারু (৪৫) রাজশাহী জেলার বাগমারা থানার সাদিপুর গ্রামের মৃত মনছুর খামারুর মেয়ে। প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে ১৩ বছর আগে ফয়সাল আলম খানকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন মোরশেদা।

নিহতের প্রতিবেশীরা জানায়, স্ত্রীকে নিয়ে পূর্ব আরিচপুর এলাকায় এক বছর ধরে ভাড়া থাকতেন রং মিস্ত্রি ফয়সাল। মাস খানেক আগে ভূঁইয়া পাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়ায় ওঠেন। প্রায় ১৩ বছর আগে বিয়ে হলেও ফয়সালের পরিবারের সঙ্গে স্ত্রী মোরশেদার কোনো যোগাযোগ ছিল না। তাদের সংসারে কোনো সন্তানও নেই। প্রায়ই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকতো। দুই সপ্তাহ আগেও পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটে। সোমবার সকালে ফের তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়।

টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাসুদ জানান, পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সোমবার বেলা ১১টার দিকে স্বামী ফয়সালের সঙ্গে স্ত্রী মোরশেদার ঝগড়া শুরু হয়। ঝগড়া চলাকালীন উত্তেজিত হয়ে মোরশেদা ঘরে থাকা মসলা বাটার শিল দিয়ে ফয়সালের মাথায় আঘাত করে এবং গামছা দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। একপর্যায়ে মোরশেদা থানায় এসে স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ আনেন। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে মোরশেদাকে নিয়ে তাদের ভাড়া বাসায় যায় পুলিশের একটি দল। সেখানে ভিকটিমের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ফয়সালকে মৃত ঘোষণা করেন।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন স্ত্রী মোরশেদা। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *