করোনার টিকা নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) যা বলেছে তাতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন
এ সময় তিনি করোনার টিকা নিয়ে টিআইবির গবেষণা কল্পনাপ্রসূত ও অনেক ভুল তথ্য দিয়ে তারা রিপোর্ট তৈরি করেছে বলেও জানান।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে গত ১২ এপ্রিল এক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপনের সময় টিআইবির পক্ষ থেকে বলা হয়, টিকা ক্রয়ে এ খরচ সর্বোচ্চ ১৮ হাজার কোটি টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। ‘করোনাভাইরাস সংকট মোকাবেলায় সুশাসন: অন্তর্ভুক্তি ও স্বচ্ছতার চ্যালেঞ্জ’ শিরোনামে এ গবেষণাপত্র প্রকাশ করে টিআইবি।
বাংলাদেশে কোভিড-১৯ টিকা প্রদানের খরচের ক্ষেত্রে সরকারি হিসেব এবং টিআইবির হিসেবের মধ্যে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকার ফারাক দেখা যায়।
টিআইবি জানায়, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গত মার্চ মাসে বলেছিলেন, কোভিড-১৯ টিকা ক্রয় এবং বিতরণের ক্ষেত্রে ৪০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে।
এসব টিকা কত দামে কেনা হয়েছে তার বিস্তারিত কখনোই তুলে ধরেনি স্বাস্থ্য বিভাগ। টিআইবি তাদের গবেষণায় বলছে, টিকা ক্রয়ের ক্ষেত্রে সাড়ে এগারো হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ হওয়ার কথা নয়।
তারা দাবি করছে, যেহেতু সরকারের তরফ থেকে টিকার দাম সম্পর্কিত কোনো তথ্য তুলে ধরা হয়নি, সেজন্য টিআইবি বিভিন্ন সূত্র থেকে টিকার দাম সম্পর্কিত তথ্য জোগাড় করেছে।
‘করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলায় সুশাসন : অন্তর্ভুক্তি ও স্বচ্ছতার চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। ২০২১ সালের আগস্ট থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত গবেষণাটি করা হয়।