অধিকৃত পশ্চিমতীরের হেবরন শহরে বিখ্যাত ইব্রাহিমি মসজিদ আবারও বন্ধ করে দিয়েছে ইসরাইল। শুধু তাই নয়, মসজিদ চত্বরে কনসার্টের আয়োজন করেছে ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীরা।
ইব্রাহিমি মসজিদ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা হেবরন ওয়াকফ এনডোমেন্ট ডিরেক্টরেটের বরাতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ওয়াফা জানায়, ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের উৎসব ‘পাসওভার’ উদযাপনের জন্য রোববার (১৭ এপ্রিল) ইসরাইলি বাহিনী মুসল্লিদের জন্য প্রাচীন এ মসজিদটির দরজা বন্ধ করে দেয়। এরপর সেখানে পাসওভার উপলক্ষ্যে ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীদের জন্য কনসার্টের আয়োজন করা হয়।
মসজিদ সংশ্লিষ্টরা এ ঘটনাকে ইব্রাহিমি মসজিদের পবিত্রতার প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা ও মুসলিম অধিকারের চরম লঙ্ঘন আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা জানিয়েছে। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে মসজিদের পরিচালক ঘাসসান আল-রাজাবি বলেছেন, ইহুদিবাদী কর্তৃপক্ষ এখন মসজিদ দখলের চেষ্টা করছে।
১৯৪৮ সালে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্টার পর থেকে নানা সময়ে ইসরাইলিদের হামলা ও অপতৎপরতার শিকার হয়েছে ইব্রাহিমি মসজিদ। ১৯৯৪ সালে মসজিদটিতে গণহত্যা চালায় এক ইসরাইলি সেটেলার (বসতি স্থাপনকারী) । এতে ২৯ ফিলিস্তিনি নিহত ও ১৫০ জন আহত হন। এরপর মসজিদটিকে মুসলিম ও ইহুদিদের জন্য দুইভাবে ভাগ করে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ।
এরপরও ইসরাইলিদের অত্যাচার-নিপীড়ন বন্ধ হয়নি। গত বছরও ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসবের সময় মসজিদটি মুসল্লিদের জন্য বন্ধ করে দেয় ইসরাইল। ইহুদি ও মুসলিম ধর্মের মানুষদের কাছে হেবরনের ইব্রাহিমি মসজিদ খুবই প্রবিত্র এক স্থান। দুই ধর্মের মানুষদের বিশ্বাস এখানে ইব্রাহিম, ইয়াকুব ও ইসহাক নবীর কবর আছে।