ফুটবল কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যু স্বাভাবিক নাকি চিকিৎসকের অবহেলাজনিত কারণে হয়েছেÑ এ নিয়ে তদন্ত চলছে। প্রসিকিউটররা বলেছেন, ম্যারাডোনার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা আট চিকিৎসক চিকিৎসা প্রদানে বিরত ছিলেন। যা ম্যারাডোনাকে অসহায়তার পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়। বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ম্যারাডোনাকে ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল বলেও দাবি আইনজীবীদের। এ অভিযোগ প্রমাণিত হলে ম্যারাডোনার চিকিৎসকদের ৮ থেকে ২৫ বছর জেল হতে পারে।
২০২০ সালে ৫০ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পারি জমান আর্জেন্টিনার ১৯৮৬ বিশ্বকাপজয়ী তারকা ম্যারাডোনা। মৃত্যুর কিছুদিন আগে মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার কারণে অস্ত্রোপচার করানো হয়েছিল তার। কয়েক দশক ধরেই কোকেন এবং অ্যালকোহলজনিত আসক্তির সঙ্গে লড়াই করছিলেন তিনি। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির মৃত্যুর জন্য প্রধানত দায়ী করা হচ্ছে তার পারিবারিক চিকিৎসক নিউরোসার্জন লিওপোল্ডো লুক এবং মনোরোগ বিশেষজ্ঞ আগুস্টিনা কোসাচভকে।
এছাড়া মনোবিজ্ঞানী কার্লোস ডিয়াজ এবং মেডিকেল কো-অর্ডিনেটর ন্যান্সি ফোরলিনিসহ আরও ছয়জনকে আসামি করা হয়। ‘কোনো ব্যক্তির অবহেলার কারণে মৃত্যুর বিষয়টিকে ঘটনাচক্রে সাধারণ হত্যা’ হিসেবে উল্লেখ করে প্রসিকিউশন অভিযুক্তদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
আপনার মতামত দিন