অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, ডিসেম্বরে নয়, নির্ধারিত সময় জুনেই চালু হবে পদ্মা সেতু।
বৃহস্পতিবার (০৭ এপ্রিল) দুপুরে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে অনলাইন ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এ কথা জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এ বছরের শেষে নয়, বরং অর্থবছরের শেষদিকে চালু হবে পদ্মা সেতু। টোলের টাকা দিয়ে খরচ মেটানোর পাশাপাশি নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
কবে খুলে দেওয়া হবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু তা নিয়ে জল্পনাকল্পনার শেষ নেই। আগেই নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ জুন চালু হবে সেতু। তবে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পদ্মা সেতুর কিছু সরঞ্জাম পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় ছয় মাস পেছাতে পারে বলে বুধবার (৬ এপ্রিল) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে জানিয়েছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
একই দিনে সংসদ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ইঙ্গিত দিয়েছেন বছর শেষে সেতু চালুর বিষয়ে।
তবে, একদিনের ব্যবধানে তার ব্যাখ্যা দিয়ে অর্থমন্ত্রী জানালেন, বছর শেষ বলতে অর্থবছরের শেষ বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ জুনেই চালুর বিষয়ে আশাবাদী সরকার।
এছাড়াও অর্থমন্ত্রী জানান, সেতুর টোলের মাধ্যমে প্রকল্প ব্যয় তুলে লাভ করতে চায় সরকার। লাভের অর্থ ব্যয় করা হবে অন্য প্রকল্পে। তবে এখনো টোলের হার নির্ধারণ করা হয়নি বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
এর আগে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরে নওগাঁ-২ আসনের শহীদুজ্জমান সরকারের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মূল সেতুর ভৌত অগ্রগতি ৯৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। বর্তমানে সেতুতে কার্পেটিং, ভায়াডাক্ট কাপের্টিং, ওয়াটারপ্রুফ মেমব্রেন, মূল সেতু ও ভায়াডাক্টের মুভমেন্ট জয়েন্ট, ল্যাম্পপোস্ট, অ্যালুমিনিয়াম রেলিং, গ্যাসের পাইপলাইন, ৪০০ কেভিএ বিদ্যুৎ এবং রেললাইন নির্মাণের কাজ চলমান। ২০২২ সালের শেষ নাগাদ পদ্মা সেতু চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের সংশোধিত ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা বলে তিনি জানান।