চট্টগ্রাম: চার বছর আগে নগরের সদরঘাট থানার একটি বাড়ি থেকে ১০টি তাজা গ্রেনেড উদ্ধারের ঘটনায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের করার মামলার রায় ঘোষণা করা হবে বুধবার (৬ এপ্রিল)।
রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুল হালিম রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন।
মামলায় ৬ পুলিশ সদস্য ও ভবন মালিকসহ ৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
আসামি হলেন- মো. রকিবুল হাসান (২২)। তিনি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কোদালা কাটা সরকার বাড়ির মো. জসিম উদ্দিনের ছেলে। তার ছদ্মনাম সালাহ উদ্দিন আয়ুবী, আবু তাছিব আল বাঙালী ও হাসান।
চট্টগ্রাম সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মনোরঞ্জন দাশ বাংলানিউজকে বলেন, সদরঘাটের একটি বাড়ি থেকে ১০টি তাজা গ্রেনেড উদ্ধারের ঘটনায় আসামি রাকিবুল হাসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। রায়ে আসামির মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করছি। এক আসামি ছোট হওয়ায় শিশু আইনে মামলাটি চলমান রয়েছে।
গ্রেফতার জঙ্গির বিরুদ্ধে সদরঘাট থানায় একটি মামলা করেছিলেন তৎকালীন নগর পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের সদস্য পুলিশ পরিদর্শক রাজেস বড়ুয়া।
একটি নিখোঁজ ডায়েরির সূত্র ধরে নগর ডিবি পুলিশ আবদুল্লাহকে খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে পুলিশ জানতে পারে, সে নেত্রকোনার কমলাকান্দায় অবস্থান করছেন। পরে পুলিশ আবদুল্লাহর মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে অন্য কয়েকটি নম্বর পায়। সেই সূত্র ধরেই অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে কর্মকর্তারা কিছু সন্দেহভাজন ব্যক্তির তৎপরতা শনাক্ত করতে সক্ষম হন। পরে সদরঘাট থানার পোর্ট সিটি হাউজিং এলাকায় সন্দেহভাজন জঙ্গিদের অবস্থান নিশ্চিত হয় কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। বাসায় তল্লাশি করে ১০টি তাজা গ্রেনেড, দুটি সুইসাইড ভেস্ট, দুটি মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করা হয়। এছাড়া দুটি হাতে আঁকা মানচিত্র পাওয়া গেছে, যার একটিতে সদরঘাট থানা এবং অন্যটিতে সদরঘাট থানার আশপাশের এলাকাসহ সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার তথ্য উল্লেখ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি রাতে সদরঘাট থানাধীন শুভপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি ভবনের পঞ্চম তলা থেকে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেন।