বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের রক্ষণাবেক্ষণ কাজের সময় বন্ধ হয়ে যাওয়া ৬টি কূপের ৪টি থেকে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। সন্ধ্যার মধ্যেই গ্যাস সংকট অনেকটাই কেটে যাবে।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদের রাষ্ট্রায়ত্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থা পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান সময় সংবাদকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়া দ্রুত সময়ের মধ্যে বাকি দুটি কূপের গ্যাস উত্তোলন স্বাভাবিক করার মাধ্যমে গ্যাসক্ষেত্রটিকে পূর্ণ সক্ষমতায় ফেরানোর চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
রক্ষণাবেক্ষণ কাজের সময় দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাসক্ষেত্র বিবিয়ানার ২৬টি কূপের মধ্যে ৬টি কূপে শনিবার (২ এপ্রিল) রাত থেকে হঠাৎ সমস্যা দেখা দেয়। গ্যাসের সঙ্গে বালি উঠতে থাকায় বন্ধ হয়ে যায় কূপগুলোর উৎপাদন।
দেশের সবচেয়ে বড় হবিগঞ্জের বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে যোগান দেয় ১ হাজার ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। কিন্তু ৬টি কূপের গ্যাস উত্তোলন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গ্যাসক্ষেত্রটির যোগান কমে যায় ৪২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। ফলে সারা দেশেই দেখা দেয় তীব্র গ্যাস সংকট।
বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, গ্যাসের সঙ্গে বালি উঠতে থাকায় বন্ধ হয়ে যায় কূপগুলোর উৎপাদন। আর এতে রমজানের শুরুতেই ভয়াবহ গ্যাস সংকটের কবলে পড়তে হয়েছে দেশবাসীকে।
সোমবারও (৪ এপ্রিল) রাজধানীর বেশকিছু এলাকায় গ্যাস সংকটের খবরের সত্যতা পাওয়া যায়। গ্যাসের সংকটে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনও। বেশকিছু জায়গায় লোডশেডিংয়ের খবর পাওয়া যায়। এদিন পেট্রোবাংলা জানায়, মঙ্গলবারের মধ্যে অন্তত তিনটি কূপ সচল হওয়ার আশা তাদের।
বিবিয়ানা কবে থেকে পূর্ণ উৎপাদনে সক্ষম হবে, সে ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো তথ্য দিতে না পারলেও পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান বলছেন, বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) নাগাদ আমদানি করা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজি এলে পুরো মাসেই আর সংকট হওয়ার কথা নয়।
তবে এরই মধ্যে ৩টি কূপের কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়ায় ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুটের বেশি গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে বলে জানায় পেট্রোবাংলা। যার ফলে ধীরে ধীরে দেশের জ্বালানি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আশা করছে কর্তৃপক্ষ।