রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্ববাজারে দেখা দিয়েছে জ্বালানি তেলের তীব্র সংকট। রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনা বন্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউরোপে তেল বিক্রি বন্ধের হুমকিও দিয়েছেন পুতিন। এমন বাস্তবতার মধ্যেই ভারতের কাছে বাজারমূল্য থেকে কম দামে তেল বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে মস্কো। যদিও এত কিছুর পরও ভারতের জ্বালানি তেলের বাজারে লেগেছে আগুন।
ভারতকে কম দামে তেল বিক্রির প্রস্তাব রাশিয়ার
সুব্রত আচার্য।
২০ মার্চ থেকে ভারতের পেট্রোল-ডিজেল-কেরোসিনের দাম প্রায় রোজ বাড়ছে। শুক্রবার (১ এপ্রিল) সেই দাম ছুঁয়েছে পেট্রোল ১১১ রুপি এবং ডিজেল ৯৭ রুপিতে। অথচ মার্চের তৃতীয় সপ্তাহেও এই দাম ছিল যথাক্রমে ১০২ ও ৮৯ রুপি। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় নাভিশ্বাস উঠেছে ভারতের সাধারণ মানুষের।
ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমের দাবি, দেশটিতে আগামী ৭৪ দিনের তেলের মজুত রয়েছে। তবে ভারতের মতো দেশে তেল মজুত থাকা প্রয়োজন ন্যূনতম ১২০ দিনের। আর এই সংকট সামনে এনে দেশটির প্রধান রাজনৈতিক শক্তি কংগ্রেস, বাম এবং তৃণমূল কংগ্রেস আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করায় খানিকটা চাপে পড়ে রাশিয়া এবার মোদির কাছে বর্তমান বাজারমূল্য থেকে কম দরে তেল বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যম দাবি করেছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, যুদ্ধে ব্যারেলপ্রতি ১৫ ডলার যেখানে বেড়েছে, সেখানে ব্যারেলে ৩৫ ডলার কম মূল্যে অপরিশোধিত তেল ভারতের কাছে বিক্রি করতে চায় মস্কো। যদিও এই প্রস্তাবে এখনো ভারত সম্মতি দেয়নি বলে খবর গণমাধ্যমের।