ঢাকা: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ব্লগার নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যা মামলায় আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়াসহ ৫ জনের সম্পত্তি ক্রোকের তামিল বিষয়ে প্রতিবদেনর জন্য ১০ মে দিন ধার্য করেছেন আদাল।
বুধবার (৩০ মার্চ) ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালতে এই ক্রোকের বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল।
তবে এ দিন ক্রোকী পরোয়ানা তামিলের প্রতিবেদন দাখিল করেনি পুলিশ। তাই ট্রাইব্যুনাল এই প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগাামী ১০ মে পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারি রুহুল আমিন এই তথ্য জানান।
গত ২০ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। তবে পরোয়ানা তামিল না হওয়ায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ক্রোকের আদেশ হয়।
ক্রোকের আদেশ হওয়া অপর চার আসামি হলেন—আকরাম হোসেন, মো. ওয়ালিউল্লাহ ওরফে ওলি ওরফে তাহেব ওরফে তাহসিন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক ও মাওলানা জুনেদ আহাম্মেদ ওরফে সাব্বির ওরফে জুনায়েদ ওরফে তাহের।
মামলার অপর চার আসামি রশিদুন নবী ভূইয়া ওরফে টিপু ওরফে রাসেল ওরফে রফিক ওরফে রায়হান, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মো. আরাফাত রহমান ও মো. শেখ আব্দুল্লাহ কারাগারে আছেন।
২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শেষে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায় মেসে ফেরার পথে লক্ষ্মীবাজারের একরামপুর মোড়ে জঙ্গিরা কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করেন ব্লগার নাজিমুদ্দিনকে। এ ঘটনায় পরদিন সুত্রাপুর থানার এসআই মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
২০২০ সালের ২০ আগষ্ট বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হক জিয়াসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।