রমজান মাসে দুই লক্ষ্য বিএনপির

Slider রাজনীতি


আসন্ন রমজান মাসে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক দুইটি লক্ষ্য নির্ধারণ করে তা আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। লক্ষ্য দু’টি হলো ‘সরকারবিরোধী ঐক্য’ গঠনের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা এবং সংগঠনকে শক্তিশালী করা। প্রধানত ইফতার মাহফিল কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে এই লক্ষ্য হাসিলের চেষ্টা করা হবে।
জানা গেছে, দলীয় রাজনৈতিক কোনো তৎপরতার সাথে জড়িত না থাকলেও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সরকারবিরোধী ঐক্য গঠনের বিষয়ে সম্প্রতি ইতিবাচক মতামত দিয়েছেন।

নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ‘সরকারবিরোধী ঐক্য’ গঠন এই মুহূর্তে বিএনপির অন্যতম এজেন্ডা। এ ক্ষেত্রে
ভেবে-চিন্তে এগোচ্ছে তারা। তবে দলটি এ নিয়ে কোনো তাড়াহুড়ো করতে চায় না। জোট ও জোটের বাইরের সমমনা দলগুলোর রাজনৈতিক মতামত এবং দাবির যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করে চূড়ান্ত পথে হাঁটতে চায়। এ জন্য পর্দার অন্তরালে ডান-বামসহ বহু রাজনৈতিক দলের সাথে দলটির নেতারা অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টভুক্ত গুরুত্বপূর্ণ দলগুলোর সাথে একদফা আলোচনা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এর বাইরে বেশ কয়েকটি বাম দলের শীর্ষ নেতার সাথেও কথা বলেছেন বিএনপির নেতারা।

জানা গেছে, আসন্ন রমজানে ঐক্য গঠনের এই তৎপরতা এগিয়ে নেয়া হবে। বিএনপির নীতিনির্ধারকরা এরই মধ্যে রমজানে চারটি ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রথম রমজান এতিম আলেম-ওলামাদের সম্মানে ইফতার পার্টি হবে গুলশানের লেডিস ক্লাবে। পেশাজীবীদের সম্মানে একই স্থানে ২৮ এপ্রিল ইফতার মাহফিল হবে। তবে রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিকদের সম্মানে ইফতারে তারিখ ও স্থান এখনো ঠিক হয়নি বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসের কার্যালয়ের মিডিয়া শাখার সদস্য শায়রুল কবির খান।
জানা গেছে, ইফতার মাহফিলের মধ্যে রাজনীতিবিদদের সম্মানে ইফতার অনুষ্ঠানকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে বিএনপি। দলটির নেতারা এই ইফতার পার্টিকে ‘পুনর্মিলনী’ ও সরকারবিরোধী ঐক্যের সূচনা হিসেবে তুলে ধরতে চান। এই ইফতারে জোট ও জোটের বাইরে থাকা ডান-বাম সব রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

আগামী বছর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি নতুন করে আবার কার্যক্রম ত্বরান্বি^ত করতে বসতে শুরু করেছে। দলটি আওয়ামী লীগ হটাও আন্দোলনের নতুন একটি রোডম্যাপ তৈরির চিন্তা করছে। বিএনপির নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, খুব শিগগির রাজনৈতিক দৃশ্যপট পাল্টাতে থাকবে। আন্দোলনকে বেগবান করতে কর্মসূচির ধরনে পরিবর্তন আসবে। সরকারের ওপরও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে চাপ বাড়তে থাকবে।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, নতুন জোটগঠনের ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে অধিকাংশ সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রাথমিক সম্মতি পেয়েছে বিএনপি। জোট ও জোটের বাইরের সব দলই চাচ্ছে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে দ্বাদশ নির্বাচন অনুষ্ঠান হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *