শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জার্মানিসহ প্রতিবেশী দেশ নেদারল্যান্ডস ও পোল্যান্ডের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘ইউনিসের তান্ডব থেমে গেলেও ঘন্টায় সর্বোচ্চ ১৬০ কি.মি বেগের ঘূর্ণিঝড়টি কেড়ে নিয়েছে বেশ কয়েকটি প্রাণ। মৃতদের মধ্যে জার্মানির ৩ জন রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়।
ঘূর্ণিঝড়টি ইউরোপের উপর দিয়ে অতিক্রান্ত হতে পারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এমন পূর্বাভাস পাওয়ার পরও হতাহত ঠেকাতে ব্যর্থ দেশগুলো।
ঘূর্ণিঝড়রের কারণে শনিবারও দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল অনেকটাই বন্ধ ছিল জার্মানিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। এদিনও বেশীরভাগ মহাসড়ক ছিল ফাঁকা।
জার্মান দূর্যোগ মোকাবিলা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ইউনিসের কারণে বিধ্বস্ত অসংখ্য বাড়িঘর। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাটসহ বাজার ও সুপারমার্কেট। জলোচ্ছ্বাসে ডুবে গেছে বন্দরনগরী হামবুর্গের বেশ কয়েকটি মার্কেট। ৯০ কোটি ইউরো ক্ষতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির প্রশাসন। তবে আগামী সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছে জার্মান আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বিবিসি ওয়েদারে বলা হয়, ঝড় ইউনিস খুব সম্ভবত গত তিন দশকের মধ্যে যুক্তরাজ্যে আঘাত হানা সবচেয়ে ভয়ংকর ঝড় হতে যাচ্ছে। ঝড়ের কারণে চারশ’র বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। ফলে লন্ডনের গুরুত্বপূর্ণ বিমান বন্দরগুলোতে সব মিলিয়ে দুই লাখ মানুষ আটকে পড়েন।
ওয়েলস, কর্নওয়েল, ডেভন, সামারসেট, উইল্টশায়ার, হ্যাম্পশায়ার, ডোরসেট এবং ব্রিসটলে শত শত স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশজুড়ে ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। ডেভন বন্দরে জাহাজ চলাচল আপাতত সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে, লিভারপুল, কর্নওয়াল, আয়ারল্যান্ড ইত্যাদি জায়গার বিধ্বস্ত অবস্থা। লন্ডন ও দক্ষিণ ইংল্যান্ডের একাধিক জায়গায় বিদ্যুৎ পরিষেবা নেই। তবে পরিষেবা সচল রাখা এবং উদ্ধারকাজে কাজ করে চলেছে প্রশাসন।