গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানিয়েছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তার দলে জাফরুল্লাহকে যোগ দিতে বলেছিলেন।
শুক্রবার রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ‘কাশ্মীর ও দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় একথা জানান তিনি।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছিলেন, ‘বিএনপি বলেছে তারা সার্চ কমিটিতে নাম দেবে না। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাহেব কার? আমরা তো জানতাম উনি খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা। তিনি যদি নাম দেন, সেই নামটা বিএনপির পক্ষ থেকে দেওয়া হয় না? ডা. জাফরুল্লাহ যে নাম দিয়েছেন- সেটা কি বিএনপির নাম নয়? আমরা তো সেটা বলতে পারি।’
হানিফের এসব বক্তব্যের জবাবে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমি আটটা নাম প্রস্তাব করেছিলাম। এগুলো হলো- ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন, সাবেক সেনাপ্রধান ইকবাল করিম ভূঁইয়া, বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, শেখ হাসিনার ছোটবেলার খেলার সাথী সুলতানা কামাল ও সাবেক প্রতিরক্ষা সচিব হাবিবুল আলম আউয়াল। ওনার নাম দিয়েছি, কারণ উনি তদবির করে এক্সটেনশন নেননি। উনি প্রতিরক্ষা সচিব থাকাকালে সেনাবাহিনী বিদ্যুৎ বিল নিয়ে কাজ করেছিলেন। তাই বুঝলাম উনার জোর আছে। উনি পারবেন। আর ড. শওকত আলীর নাম আমি দিয়েছি। উনি মতিয়া চৌধুরী যখন কৃষিমন্ত্রী ছিলেন, তখন তার সচিব ছিলেন। আর দিয়েছি খালেদ শামসের নাম। উনি একমাত্র সিএসপি, যিনি পাকিস্তান আমলে বাংলায় নাম লিখতেন। মোনায়েম খান তখন সবকিছুতে নাক গলাতেন। মোনায়েমের কথা শোনেননি বলে ওনাকে বান্দরবান ট্রান্সফার করা হয়েছিল।’
জাফরুল্লাহ বলেন, ‘হানিফ বললেন- আমি বিএনপির হয়ে নাম প্রস্তাব করেছি। উনি কেন এটা বললেন, আমি জানি না। আমার সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের কারো সঙ্গে গত তিন মাসে কথাও হয়নি। আরেকটা কথা বলা হয়েছে, আমি বিএনপির উপদেষ্টা। আমি বিএনপির কিছু নই। খালেদা জিয়া আমাকে বলেছিলেন, আপনি বিএনপিতে আসেন। আমি হাসতে হাসতে বলেছিলাম, যদি কাউন্সিলের মাধ্যমে হয়, তাহলে যাব। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এটা হতে হবে, না হলে নয়।’