আজ (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে দিবসটি।
ফুল, চকলেট বা পছন্দের উপহার দেওয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ পালন করে থাকে ভালোবাসা দিবস।
তবে এমন অনেক দেশ আছে যেখানে ভালোবাসা দিবস উদযাপন নিষিদ্ধ। এর পেছনে ধর্মীয় বিষয়গুলো ছাড়াও আরও অনেক কারণ আছে।
আসুন জেনে নেই দেশগুলো সম্পর্কে:
সৌদি আরব
মুসলিম দেশ হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিত সৌদি আরব। এ দেশের বেশিরভাগ নাগরিক মুসলিম হলেও বিশ্বের অনেক দেশ থেকে অন্যান্য ধর্মের মানুষ এখানে কাজের জন্য আসেন। তবে সবার জন্য একই নিয়ম। ভালোবাসা দিবস পালন তো দূরে থাকে, দিবসকে ঘিরে কোন গিফট সামগ্রী বিক্রি ও কেনা উভয় নিষিদ্ধ। এমনকি এই দিবস উপলক্ষ্যে কেউ লাল গোলাপ কেনা বেচা করতে পারবেনা। আর এ নিয়ম ভঙ্গ করলে হতে পারে জেল।
তবে ২০১৮ সালে কিছুটা ভিন্নতা আসে। দেশটির ধর্মীয় পুলিশ ঘোষণা দেন যে ভালোবাসা ইসলামের বিরোধী না। এরপর থেকে কিছুটা শিথিল হয়েছে পরিস্থিতি।
উজবেকিস্তান
ঐতিহ্য ও ইতিহাসের জন্য খ্যাত উজবেকিস্তান। কিন্তু ২০১২ সালে সেখানে ভালোবাসা দিবস পালন নিষিদ্ধ করা হয়। তার বদলে দিনটি ভূমিপুত্র বাবরের জন্মদিন হিসেবেই সেখানে পালিত হয়।
ইন্দোনেশিয়া
আইনি কোনো নিয়ম না থাকলেও ভালোবাসা দিবস পালন করা নিষিদ্ধ ইন্দোনেশিয়ায়। সম্প্রতি কয়েক বছরে দেশটিতে ভালোবাসা দিবস পালন, বিয়ের আগে যৌন সম্পর্ক, অ্যালকোহল পান বৈধ করা নিয়ে অনেক আন্দোলন হয়। তবে এখনো সুরাবায়া, মাকাস্সরের মতো এলাকায় এই দিন যুগলদের বের হওয়া, ঘোরাফেরায় বিধিনিষেধ চালু করা হয়।
ইরান
ইরানের ধর্মীয় গুরুরা ভালোবাসা দিবস পালনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। এছাড়া এই সম্পর্কিত কোন গিফটও বিক্রি করা যাবেনা। দেশটিতে পশ্চিমা সংস্কৃতি আধিপত্য বিস্তার করলে এখনও সেই আগের চিন্তাধারাতেই বহাল আছে।
মালয়েশিয়া
২০০৫ সাল থেকে ভালোবাস দিবস পালনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মালয়েশিয়া। এমনকি প্রতি বছর ভালোবাস বিরোধী ক্যাম্পেইন পালিত হয়। কেউ যদি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস পালন করতে বাইরে বের হয়, তবে গ্রেফতার হওয়ারও সম্ভাবনাও আছে।
পাকিস্তান
প্রেমের উদযাপন নিষিদ্ধ পাকিস্তানেও। ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ভালোবাসা দিবস পালন নিষিদ্ধ করে। এই প্রথা ইসলামি সংস্কৃতির পরিপন্থী বলে সে বার মন্তব্য করেন বিচারপতি। তবে এই সিদ্ধান্তকে সবাই যে মেনে নিয়েছে এমন না। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও ফুল বিক্রেতারা পালন করে ভালোবাসা দিবস।