বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক ও খ্যাতিমান কলামিস্ট পীর হাবিবুর রহমানকে সুনামগঞ্জের পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে। পারিবারিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পীর হাবিবুর রহমানের দাফন সোমবার
জানা গেছে, শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে এশার নামাজের পর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আগামীকাল রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে। জোহরের নামাজের পর জাতীয় প্রেস ক্লাবে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নেওয়া হবে।
এদিন বিকেল তিনটায় সাংবাদিক পীর হাবিবের কর্মস্থল বাংলাদেশ প্রতিদিন কার্যালয়ে নেওয়া হবে তার মরদেহ। পরদিন সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় সুনামগঞ্জ পৌর শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। বাদ জোহর জেলার কেন্দ্রীয় মসজিদে এবং পরে নিজ গ্রাম মাইজবাড়িতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে।
গত বছরের অক্টোবরে মুম্বাই জাসলুক হাসপাতালে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লানটেশনের মাধ্যমে ক্যান্সারের মুক্ত হন পীর হাবিবুর রহমান। এরপর গত ২২ জানুয়ারি তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। করোনামুক্ত হলেও কিডনির জটিলতায় পীর হাবিব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সন্ধ্যায় স্ট্রোক করলে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই শনিবার মারা যান তিনি।
বরেণ্য সাংবাদিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলামিস্ট পীর হাবিবুর রহমানের জন্ম ১৯৬৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জ শহরে। তার মৃত্যুতে সাংবাদিক মহলে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পীর হাবিবুর রহমানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, পীর হাবিবুর রহমানের মৃত্যু দেশের গণমাধ্যম জগতের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। দেশে সাংবাদিকতার উন্নয়ন ও প্রসারে তিনি যে ভূমিকা রেখেছেন সংবাদকর্মীরা তা চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
প্রয়াত পীর হাবিবের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান রাষ্ট্রপতি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শোক বার্তায় পীর হাবিবের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।