ফের উদ্বেগ ইইউ’র

Slider জাতীয়

65865_eu
রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ফের উদ্বেগ জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। চলমান সহিংসতা বন্ধ এবং জনগনের মৌলিক গনতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার তাগিদও পূণর্ব্যক্ত করেছে ইউরোপের ২৮রাষ্ট্রের ওই জোট। ঢাকাস্থ ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ ও ইইউর মধ্যে ২০০১ সালের করা সহযোগিতা চুক্তির আওতায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাব-গ্রুপ বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে গত ২৬ ও ২৭শে ফেব্রুয়ারি বৈঠক করে। ২৬ তারিখের বৈঠকে সুশাসন, মানবাধিকার ও অভিবাসন এবং ২৭ তারিখের বৈঠকে বানিজ্য ও উন্নয়ন সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশ-ইইউ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে মানবাধিকার একটি অন্যতম ভিত্তি উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি সহিংসতায় শিকার হওয়া সাধারণ যথাযথ বিচারের প্রাপ্য। অপরাধী যারাই হোক, তাদেরকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। বৈঠকে আইনের শাসনের প্রতিষ্ঠা এবং মানবাধিকার নিশ্চিত করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে, যা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাকে কমিয়ে আনতে পারে। বৈঠকে ইইউ সাব-গ্রুপ গণতন্ত্র, সুশাসন এবং মানবাধিকার পরিস্থিতি শক্তিশালী করতে সহযোগিতার কথা জানান। বিশেষ করে বিচারিক কাজে এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মানদ- বাস্তবায়নের কথা বলেছে। এছাড়া আইনের শাসন, বিচার বহির্ভুত হত্যার জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা, গনমাধ্যমের স্বাধীনতা, সমাবেশ করতে দেয়া ও নাগরিক সমাজের স্বাধীনতা, শ্রম অধিকার, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং সংখ্যালঘুর অধিকার, পাবর্ত্য চট্টগ্রামে শান্তি চুক্তির বাস্তবায়ন, নারী ও শিশু অধিকার নিশ্চিত, রোহিঙ্গা ইস্যু, মৃত্যুদ- এবং অভিবাসনের মত অভিন্ন স্বার্থ জড়িত বিষয়গুলোতে বরাবরের মত উদ্বেগ জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এছাড়া মানবাধিকার কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে সংস্থাটি। বাংলাদেশ জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য রাষ্ট্র। ফলে মানবাধিকার উন্নয়ন এবং রক্ষায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আরো গভীরভাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশ ও ইইউ মানবাধিকার ইস্যুতে আরো আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। এছাড়া বাণিজ্য বিষয়ক সাব-গ্রুপ বাংলাদেশের সঙ্গে ইইউ গত তিন বছরের বাণিজ্যের বিষয়গুলো তুলে ধরেছে। বৈঠকে ‘ইইউ বিজসেন কাউন্সিল বাংলাদেশে’র করা প্রস্তাবগুলো তুলে ধরা হয়েছে। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নতি। পাশাপাশি বাংলাদেশের উন্নয়নে ইইউ আরো সহযোগিতা করার ঘোষণা দিয়েছে। এ সময়ে নতুন করে ৬৯ কোটি ইউরো ডলার অনুদান দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এ অনুদান গনতান্ত্রিক সুশাসন, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা এবং শিক্ষা এবং দক্ষতা উন্নয়নে ব্যয় করা হবে।
এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *