করোনার নতুন ধরনের সংক্রমণ ঠেকাতে আজ শুক্রবার ৫টি জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ সময় বিস্তার মোকাবিলায় রাষ্ট্রীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান-সমাবেশের ওপর বিধিনিষেধ দিয়েছে সরকার। বিধিনিষেধ মোতাবেক এসব অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি মানুষের সমাবেশ করা যাবে না। যারা অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন তাদের অবশ্যই করোনা টিকার সনদ অথবা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করা পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ সনদ থাকতে হবে।
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে ১৩ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে ১১ দফা বিধিনিষেধ দেয় সরকার। সেখানে অনুষ্ঠানাদি সম্পর্কিত বিধিনিষেধে বলা হয়েছিল, কোভিড আক্রান্তের হার ক্রমবর্ধমান হওয়ায় উন্মুক্ত স্থানে সর্বপ্রকার সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশসমূহ পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। ওই বছরের শেষ দিকে সংক্রমণ ও মৃত্যু কিছুটা নিম্নমুখী হলেও ২০২১ সালের এপ্রিলের পর থেকে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। তবে ২০২২ সালের শুরুতেই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট আবারও চোখ রাঙাতে শুরু করে। দ্রুত বাড়তে থাকে সংক্রমণ ও মৃত্যু।
গতকাল বৃহস্পতিবার দেশে করোনায় একদিনে চারজনের মৃত্যু ও ১০ হাজার ৮৮৮ জনের আক্রান্ত হওয়ার তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৮ হাজার ১৮০ জন এবং মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ লাখ ৫৩ হাজার ১৮২ জন।