ছবি প্রতীকি
বামনা উপজেলা সদরের সারওয়ারজান মডেল স্কুল এ্যান্ড কলেজের প্রভাষক আয়শা সিদ্দিকা দিনাকে (২৫) উত্ত্যক্ত এর দায়ে তার স্বামী মো.জহিরুল ইসলাম সোহাগকে (৩৫) বৃহস্পতিবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কাজী মাহবুবুর রশিদ ৬ মাসের কারাদ- দিয়েছেন।
জানা যায়, উপজেলার কাকচিড়া গ্রামের মো. নুরুল হকের ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম সোহাগের সঙ্গে একই উপজেলার তালেশ্বর গ্রামের মো. নুরূল ইসলামের মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা দিনার প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে ২০০২ সালে বিয়ে হয়। এই দম্পত্তির একটি দেড় বছর বয়সের কন্যা সন্তান রয়েছে। স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে সম্পর্কের টানপোড়ন চলছিল। আর এ কারণে সন্তানটিকে নিয়ে স্ত্রী কয়েক বছর থেকে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন। একমাত্র সন্তানটিকে দেখতে পিতা প্রায়ই শ্বশুর বাড়িতে আসত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মেয়েটিকে দেখার জন্য শ্বশুর বাড়িতে এলে তারা মেয়েটিকে দেখতে দেয়নি। এ সময় শিশুর পিতা উত্তেজিত হয়ে দরজা ভাঙ্গা, গালিগালাজসহ বাড়ীতে পেট্রল দিয়ে আগুন দেয়ার হুমকি দেয়। স্ত্রীর পরিবার বামনা থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ তাকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৬ মাসের কারাদ- দিয়ে বরগুনা জেল হাজতে প্রেরণ করে।
এ ব্যাপারে প্রভাষক স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা দিনা জানান, আমার স্বামী মাদকাসক্ত হয়ে পড়ায় আমি তাকে স্থানীয় কাজীর মাধ্যমে গত বছরের ৬ই ডিসেম্বর তালাক দিয়েছি। এরপর থেকে আমার সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক নেই। অন্যদিকে স্বামী মো. জহিরুল ইসলাম সোহাগ তালাকের ঘটনাকে অস্বীকার করেন।