যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ায় একটি তিনতলা ভবনে অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে আটটি শিশু এবং প্রাপ্ত বয়স্ক চারজন। এ খবর দিয়ে অনলাইন সিএনএন বলেছে, একটি তিনতলা বাড়িকে দুটি এপার্টমেন্টে রূপান্তরিত করা হয়েছিল এন.২৩তম স্ট্রিটে। সেখানেই বুধবার এ ঘটনা ঘটেছে। ওই শহর থেকে আপডেট নিউজে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে নিহতের সংখ্যা ১৩ বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে মারা গেছেন ১২ জন। শুরুতে ফিলাডেলফিয়ার ডেপুটি ফায়ার কমিশনার ক্রেইগ মারফি বলেছিলেন নিহত হয়েছেন ১৩ জন। দু’জনকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
আটজন ওই ভবন থেকে নিজেরাই বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন।
অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে অগ্নিনির্বাপণকারীরা সেখানে ছুটে যান। কিন্তু ভারি ধোয়া, অত্যন্ত বেশি তাপমাত্রা, সীমিত দৃষ্টিসীমার কারণে ভবনটিতে প্রবেশ করতে পারছিলেন না তারা। বহু চেষ্টা করে একটি শিশুকে উদ্ধার করেন তারা। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি। যে বাড়িটিতে আগুন লেগেছে তার মালিকানা ফিলাডেলফিয়া হাউজিং অথরিটির।
মিউনিসিপ্যালিটির এই এজেন্সিটি কম আয়ের মানুষের কাছে লিজে বাড়ি ভাড়া দিয়ে থাকে। বুধবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে মেয়র জিম কেনি বলেছেন, নিঃসন্দেহে আমাদের এই শহরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেদনাদায়ক দিনগুলোর অন্যতম এদিন। একটি বেদনাদায়ক ঘটনায় এত মানুষ মারা যাওয়ার বিষয়টি বিরল। এতগুলো শিশু মারা গেছে। তাদের জন্য প্রার্থনা করুন।
কিভাবে অগ্নিকাণ্ডের সূচনা তা নিশ্চিত করে বলা হয়নি। তবে দ্বিতীয় তলার সামনের দিকে একটি রান্নাঘরে ভারি আগুন দেখতে পান অগ্নিনির্বাপণকারীরা। সেই আগুনকে দমিয়ে রাখতে পারেননি তারা। তিন তলা এই ভবনটিতে বসবাস করতেন ২৬ জন মানুষ। আটজন বসবাস করতেন প্রথম তলায়।
১৮ জন দ্বিতীয় তলা এবং তৃতীয় তলায়। ও দিকে হাউজিং অথরিটির সিনিয়র নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট দিনেশ ইন্দালা বলেছেন, ওই ভবনে ২৬ জন মানুষ বসবাস করতেন সে সম্পর্কে তারা অবহিত নন। এখন চেক করে দেখা হচ্ছে, ওই ভবনে কতজনকে বসবাসের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। কমিশনার মারফি বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।