চাঁদপুর: শিক্ষার্থীরা কোথায় কতটুকু পিছিয়ে আছে, সেই তথ্য যাচাই-বাছাই ও বিশ্লেষণ শেষে নতুন বছরের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আজ শনিবার বিকেলে চাঁদপুরে নিজ বাসভবনে শীতার্তদের জন্য জনপ্রতিনিধিদের হাতে কম্বল হস্তান্তর শেষে একথা জানান তিনি।
বই উৎসব প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার তাগিদে এ বছরও বই উৎসব হচ্ছে না। গত বছর করোনার মধ্যে বই উৎসব হয়নি। কারণ, স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। বছরের প্রথম দিন থেকেই প্রত্যেকটি বিদ্যালয় শিডিউল নির্ধারণ করবে, কবে এবং কোন দিন কোন ক্লাসের বই দেবে। সেরকম করে তারা বছরের প্রথম দিন থেকেই বই বিতরণ করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগের মতোই ভার্চুয়ালি বই বিতরণ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
নতুন কারিকুলাম প্রণয়নের বিষয়ে দীপু মনি বলেন, দেশে গত বছরের মার্চে করোনার প্রকোপ বেড়েছিল। তাই আগামী মার্চ মাস পর্যবেক্ষণ করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। করোনা না বাড়লে বা নিয়ন্ত্রণে থাকলে ক্লাসের সংখ্যা বাড়ানো বা রেমিডিয়েল ক্লাস (দুর্বল পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ ক্লাস) বৃদ্ধির বিষয়ে বিবেচনা করা হবে।
এদিন সদর উপজেলার প্রায় ১০ হাজার অসহায় শীতার্তদের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল প্রমুখ।