পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ধানীসাফা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হারুন অর রশিদ তালুকদারের এক কর্মীকে কুপিয়ে তাঁর হাতের কব্জি কেটে ফেলেছে প্রতিপক্ষরা। আশঙ্কাজনক হওয়ায় বিপ্লব নামের ওই কর্মীকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে মঠবাড়িয়া উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা।
উপজেলার কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বিপ্লবের শরীরে একাধিক কোপের চিহ্ন রয়েছে। তাঁর গালে, মাথার পেছনে বড় কোপ রয়েছে। তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল পাঠানো হয়েছে।
বিপ্লবের পরিবার জানায়, বুধবার সন্ধ্যার দিকে ফুলঝুড়ি পাতাকাটা এলাকায় নৌকা মার্কার প্রচারণায় নামে কর্মী সমর্থকেরা। এসময় প্রতিপক্ষের বিদ্রোহী চশমা মার্কার প্রার্থীর সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নৌকার সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। বিপ্লব বেপারীকে কোপ দিয়ে হাতের কব্জি কেটে দেয় চশমার সমর্থকরা।
গুরুতর আহত বিপ্লব হাসপাতালে পুলিশকে জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ, চশমার প্রার্থী রফিকুল ইসলাম, ফরিদ, ফরিদ আকন, ফয়সাল মাতুব্বর, আক্তারুজ্জামান নিজাম, সাইদুল মল্লিক, ফয়সাল বেপারী, শামীম এবং ফল সোহেল ছিলো। এদের চিনতে পেরেছি। ফল সোহেল হাত ধরে অন্ধকারে নিয়ে যাচ্ছিলো।
এসময় পেছন থেকে প্রথম কোপ দেয় ফরিদ। তাঁর মৃত্যু হয়েছে বুঝে চেয়ারম্যান রিয়াজ, বিদ্রোহী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ সবাই ওখান থেকে পেছনে চলে যায়।
বিপ্লবের আপন বড় ভাই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা জানান, উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমান ও তাঁর ভাই বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের ইন্ধনেই এই হামলা হয়েছে। যেদিন মঠবাড়িয়ার রাজনীতিতে আশরাফের আভির্ভাব হয়েছে সেদিন থেকেই এই জনপদ অশান্ত হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, গত উপজেলা নির্বাচনে তাঁর ভাই রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ নৌকার বিপক্ষে বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচন করেছেন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অমান্য করে আশরাফ বিদ্রোহ করে আপেল মার্কা নিয়ে সংসদ নির্বাচন করেন। পঞ্চম ধাপের এই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও যেখানে তাঁর প্রার্থী নমিনেশন পায়নি সেখানে বিদ্রোহী প্রার্থী দিয়েছে।
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বাদল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।