শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) খুলনার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
রোববার দুপুরে খুলনায় সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব-৬-এর পরিচালক এ তথ্য জানান।
র্যাব জানায়, স্বামী আর দুই সন্তানকে নিয়ে অভাবের সংসারে খুঁজছিলেন নিজের জন্য কাজ। আর এ সুযোগটাকেই কাজে লাগায় একই গ্রামের প্রতারক রফিকুল ইসলাম। ২৫ হাজার টাকা বেতনে ভারতে পার্লারে চাকরির লোভ দেখায় ভুক্তভোগী সালমাকে। প্রতারণার ফাঁদে পা দেন সালমা। তবে ভারতে পাচার হওয়ার আগেই বুঝতে পারেন তাকে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। তাৎক্ষণিকভাবে ভুক্তভোগী চিৎকার করেন। মহেশপুর সীমান্ত থেকে তাকে উদ্ধার করে র্যাব।
ভুক্তভোগী সালমা খাতুন জানান, আমার সঙ্গে তাদের চুক্তি হয় তারা আমাকে ভারাতের একটি পার্লারে চাকরি দেবে এবং পার্লারের কাজের জন্য প্রতি মাসে আমাকে ২৫ হাজার টাকা বেতন দেবে। কিন্তু আমার জানা ছিল না তারা প্রতারক এবং পাচারকারী।
র্যাব-৬-এর পরিচালক কর্নেল মুহাম্মদ মোশতাক আহমেদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ফারুক গাজী ও সঞ্জীব মণ্ডলকে হাতেনাতে ধরা হয়েছে। মানব পাচারকারীর ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের খুলনার ডুমুরিয়া থানায় হস্তান্তরসহ মানব পাচার আইনে মামলা দায়েরের পক্রিয়া চলছে।