নোয়াখালী: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পদত্যাগ করে বায়তুল মোকাররম মসজিদের ইমামতি করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা। নোয়াখালীর চৌমুহনীতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলা-নির্যাতনের ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সমালোচনা করে ফেসবুকে লাইভে এই মন্তব্য করেন তিনি।
গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে আটটায় ফেসবুক লাইভে কাদের মির্জা বলেন, ‘কুমিল্লার ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে আপনি (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) যদি চৌমুহনীতে ব্যবস্থা নিতেন, তাহলে একটা জীবন যেত না। শতাধিক হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে আহত হতে হতো না। আপনি (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) ভালো মানুষ। আপনি বায়তুল মোকাররম মসজিদে ইমামতি করেন গিয়ে। এ কাজটি আপনার জন্য উপযুক্ত হবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর যোগ্যতার প্রশ্ন তুলে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র বলেন, ‘যোগ্যতা থাকলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, সিলেটে এমন ঘটনা ঘটত না। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জেও এমন হতো না।’
কাদের মির্জা আরও বলেন, ‘কুমিল্লার ঘটনায় সবাইকে সংযত থাকার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোরআন শরীফের অবমাননা ও এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী এমন শাস্তির কথা বলেছেন যাতে ভবিষ্যতে এরকম কাজ করতে কেউ যেন সাহস না পায়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে অবজ্ঞা করে শুক্রবার বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী হিন্দুদের মন্দিরসহ তাদের বাড়িতেও আক্রমণ করেছে।’
বিএনপির সমালোচনা করে কাদের মির্জা বলেন, ‘বিএনপি ৭১ এর পরাজিত শক্তি জামায়াত, হেফাজত এবং আওয়ামী লীগের অপরাজনীতির হোতারা এক হয়ে দেশে সাম্প্রদায়িকতার উস্কানি দিচ্ছে। তারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার জন্য এসব করছে।’
ফেসবুক লাইভে কাদের মির্জা বেগমগঞ্জের এমপি মামুনুর রশিদ কিরণ, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহনাজ বেগম, এমপির ভাই পৌর মেয়র খালেদ সাইফুল্লাহ ও সাবেক মেয়র ফয়সলের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘এদের অত্যাচারে সেখানকার ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে। ফয়সল বাহিনীর অত্যাচারে চৌমুহনীর অনেক ব্যবসায়ী ব্যবসা গুটিয়ে চলে গেছে। এসব নেতাদের পদত্যাগ করে চলে যাওয়া উচিত