সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে উড়ন্ত সূচনা করেছে বাংলাদেশ। শুক্রবার মালদ্বীপ জাতীয় স্টেডিয়ামে জামাল ভূঁইয়ারা জয় পেয়েছে ১-০ গোলে।
বেশ কয়েকটি জোরালো আক্রমণ করলেও গোলশূন্যভাবেই ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধের ১০ মিনিট অতিবাহিত হতে না হতেই পেনাল্টি পেয়ে যায় অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা। সেখান থেকে দলকে এগিয়ে নেন তপু বর্মণ। এবং শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
দশ জনের বিপক্ষে বাংলাদেশ যতটুকু প্রাধান্য বিস্তার করে খেলার কথা ছিল ততটা পারেনি। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে বিপলু আহমেদ, রাকিব হোসেন অনেকটা নিশ্চিত গোলের সুযোগ মিস করেন। ম্যাচের শেষ দিকে একদম বক্সের উপর ফ্রি কিক পায় বাংলাদেশ। অধিনায়ক জামালের নেয়া শট লঙ্কানদের তৈরি করা দেয়ালে প্রতিহত হয়।
৩৯তম মিনিটে বাংলাদেশের রাকিব হোসাইন শ্রীলঙ্কার দুই ফুটবলারকে পরাস্ত করে ডি বক্সের ভেতর বল নিয়ে ঢুকে যান। সেখান থেকে তিনি পাস দেন বারপোস্টের কিছু দূরে দাঁড়িয়ে থাকা সতীর্থকে। তাৎক্ষণিকভাবে শট নিলেও বল এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে আবার ফিরে আসে, সেটিতেও শট নেন রাকিব সতীর্থ, সেই মুহূর্তে লঙ্কান ডিফেন্ডার জোরাল শটে দলকে বিপদ থেকে মুক্ত করেন।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে দৃষ্টি জোরাল আক্রমণ করে বাংলাদেশ। প্রায় মাঝমাঠ থেকে ভেসে আসা বলে দুর্দান্ত হেড করেন জুয়েল রানা। তবে তার হেড কর্নারের বিনিময়ে প্রতিহত করেন প্রতিপক্ষ দলের গোলরক্ষক। তাতে মাথায় হাত জুয়েল রানার, হতাশ বাংলাদেশী দর্শকরাও।
বিরতি থেকে ফেরার পর সবচেয়ে বড় সুযোগটি তৈরি করে শ্রীলঙ্কা। ৫০তম মিনিটে প্রায় মাঝমাঠ থেকে নেয়া কাভিন্দু ইশানের শট বাংলাদেশের পোস্টের একটু উপর দিয়ে যায়। পর মুহূর্তে ইব্রাহিমও এমনটি শট নিয়েছিলন শ্রীলঙ্কার জালে, তবে সেটি ছিল অপেক্ষাকৃত কাছ থেকে।
৫৬তম মিনিটে দুই ডিফেন্ডারের সাথে বলের কাছে ছুটছিলেন ইব্রাহিম। লঙ্কানদের এক খেলোয়াড় পড়ে যাওয়ায় বল হাতে লাগায় পেনাল্টি পায় বাংলাদেশ। রেফারিও কোনো ধরনের ইতস্তত করেননি বাঁশি বাজাতে। সেখান থেকে সফল শটে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেন বাংলাদেশের সার্জিও রামোসখ্যাত তপু বর্মণ। অন্যদিকে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন শ্রীলঙ্কার ডাকসন পুসলাস।
বাকি সময়টাও আধিপত্য ধরে রেখেছে ব্রুজন শিষ্যরা। এরইমধ্যে বেশ কয়েকজন নতুন খেলোয়াড়ও নামান বাংলাদেশ কোচ। সুমন রেজার বদলি হিসেবে নামেন মতিন মিয়া, সুফিল আসেন ইব্রাহিমের জায়গায় আর প্রথমার্ধের পরেই জুয়েলের পরিবর্তে আসেন সাদ উদ্দিন। বদলি মতিন মিয়াই ৮১তম মিনিটে জোরালো হেড নেন শ্রীলঙ্কার জালে, যা অল্পের জন্য বাইরে দিয়ে যায়।
ম্যাচের পাঁচ মিনিট বাকি থাকতে সাদ উদ্দিন গোল পেয়েই গেছিলেন, যদি না তার শটটি উপর দিয়ে যেতো। কিছুক্ষণ পর মতিন মিয়া অনেকটা ফাঁকায় বল পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ হন, মাহবুবুর রহমান সুফিলের শট ফিরে আসে প্রতিপক্ষের গায়ে লেগে।