গাজীপুরঃ আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি আজ বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) মুক্তি পেয়েছেন। তাকে নিতে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার উপস্থিত ছিলেন স্বজনরা।
পরীমনির খালু মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন ও তার আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভীসহ পরিবারের একাধিক সদস্য এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া পরীমনির আইনজীবী প্যানেলের কয়েকজন সদস্যও তাদের সঙ্গে রয়েছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) জামিন পান তিনি। ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় পুলিশ রিপোর্ট দেওয়ার আগ পর্যন্ত তাকে জামিন দেওয়া হয়।
শুধু জামিনের জন্য এর আগে তিনবার আবেদন করেছিলেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। রাষ্ট্রপক্ষের জোরালো আপত্তির মুখে কোনোবারই সাড়া পাননি। উল্টো তিন দফায় ৭ দিন রিমান্ডে নেওয়া হয় পরীকে।
বারবার জামিন আবেদনের শুনানি পেছানোয় বিড়ম্বনায় পড়েন পরীমনি। আদালতে গণমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন তিনি। তৃতীয় দফায় রিমান্ড শুনানি শেষে নিয়ে যাওয়ার সময় টানাহেঁচড়ায় পড়েও যান পরী।
এরপর চতুর্থ দফায় জজ আদালতে জামিন চান পরীমনি। কিন্তু শুনানির তারিখ দেরিতে দেওয়ায় আবারও ঝুলে যায় পুরো প্রক্রিয়া।
অবশেষে উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপে মঙ্গলবার শুনানি হয়। ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় পুলিশ রিপোর্ট দেওয়ার আগ পর্যন্ত জামিন দেন আদালত।
জামিন পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন পরীর আইনজীবীরা। বলেছেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
পরীর আইনজীবী বলেন, তার শারীরিক পরিস্থিতি ও চিকিৎসার জন্য এবং এ মামলায় এখানে ২৬ দিন সে পুলিশ কাস্টডি ও জেলহাজতে ছিল। তাকে তিন তিনবার রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এ মামলায় কোনো তথ্যগত বা প্রমাণ তার বিরুদ্ধে আসেনি। তাই আমাদের জামিন মঞ্জুর করা হোক। তখন আদালত জামিন মঞ্জুর করেন।
বরাবরের মতো রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেছে। জামিন পেলে তদন্তে ব্যঘাত ঘটবে এতদিন বললেও পরীর মুক্তির আদেশের পর তাদের কণ্ঠে ছিল ভিন্ন সুর।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, আদালত ভালো মনে করে জামিন দিয়েছেন। এটা তো আদালতের এখতিয়ার, সেখানে আমাদের কিছু বলার নেই। জামিন যেকোনো পর্যায়ে যেকোনো অবস্থায় পেতে পারে। দীর্ঘদিন কাস্টডিতে থাকবে এমন কোনো কথা না।
গত ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে পরীমনিকে গ্রেফতার করে র্যাব। তার বাসা থেকে মদ, আইস, এলএসডি উদ্ধারের দাবি করে সংস্থাটি। রিমান্ডের সময়সীম বাদে কাশিমপুর কারাগারে ১৯ দিন আছেন এ চিত্রনায়িকা। আইনি প্রক্রিয়া শেষে বুধবার কারামুক্ত হতে পারেন তিনি।