অবশেষে চতুর্দিক থেকে রাজধানী কাবুলে প্রবেশ শুরু করেছে তালেবানরা। আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, রাজধানীর চারপাশ থেকে তালেবানরা শহরে প্রবেশ শুরু করেছে। অনলাইন আল জাজিরা এ খবর দিলেও প্রেসিডেন্ট আশরাফ গণি এখন কোথায় আছেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তিনি কি তালেবানদের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেবেন, নাকি আত্মসমর্পণ করবেন- কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। তবে তার চিফ অব স্টাফ টুইটার একাউন্ট ব্যবহার করে কাবুলের জনগণকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। বলেছেন, উদ্বিগ্ন হবেন না। কোনো সমস্যা নেই। কাবুল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
ওদিকে যেসব মানুষ কাবুল ত্যাগ করতে চান, তাদেরকে নিরাপদে ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তালেবানের সিনিয়র নেতারা।
এতে বলা হয়, আজ রোববার ভোরে পূর্বাঞ্চলীয় জালালাবাদ শহর দখল করার কয়েক ঘন্টার মধ্যে কাবুল দখলের মিশন শুরু করেছে তালেবান যোদ্ধারা। কাতারের রাজধানী দোহা’য় অবস্থানরত তালেবানের এক নেতা বলেছেন, তার যোদ্ধাদের আজ সব রকম সহিংসতা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষকে নিরাপদে কাবুল ত্যাগ করতে দেয়ার সুযোগ দিতে বলা হয়েছে।
তালেবানের বিবৃতি
অনলাইনে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে তালেবানরা। এতে যোদ্ধাদেরকে কাবুলের গেট অতিক্রম না করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ওই শহরটি জোর করে দখল না করারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারা বলেছেন, পক্ষান্তরে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া নিরাপদে সম্পন্ন করার বিষয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতার প্রক্রিয়া চলছে। এর মধ্য দিয়ে কাবুলের জনগণের জীবন, সম্পদ ও কারো সম্মানহানী ছাড়াই সমঝোতার চেষ্টা চলছে। আরেকটি বিবৃতি পোস্ট করেছে তারা। তালেবানরা ব্যাংক, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান এবং উদ্যোক্তাদের নিশ্চয়তা দিয়েছে। বলেছে, তালেবানরা তাদের কোনো সম্পদ, অর্থ বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করবে না। কিন্তু এই নিশ্চয়তায় বিশ্বাস রাখতে পারছেন না স্থানীয়রা। তারা বাড়িঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমেছেন।