খেলা: টি-টোয়েন্টিতে তাদের সর্বনিম্ম রানের লজ্জায় ডুবলো অস্ট্রেলিয়া। সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ৬২ রানে অলআউট হলো অজিরা। ৬০ রানে জয় পেলো বাংলাদেশ। এতে বাংলাদেশ সিরিজ জিতলো ৪:১ এ। ক্রিকেটের এই ফরমেটে তাদের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডটি ছিল ১৬ বছরের পুরনো। ২০০৫ এ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৯ রানে অলআউট হয়েছিল তারা। সোমবার বল হাতে ৩.৪ ওভারের স্পেলে ৯ রানে চার উইকেট পান সাকিব আল হাসান। এতে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে উইকেটের সেঞ্চুরি পূর্ণ হয় তার। ৮৪ ম্যাচে তার শিকার ১০২ উইকেট।
এদিন তিন ওভারে ১২ রানে তিন উইকেট নেন সাইফুদ্দিন।
রিয়াদের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকান বেন ম্যাকডারমট। পরের বলেই নিজে ফিরতি ক্যাচ নিয়ে তাকে সাজঘরের পথ দেখান টাইগার অধিনায়ক। ১০ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫১/৪-এ। ইনিংসের অষ্টম ওভারে সাকিব আল হাসান সাজঘরে ফেরান ক্রিজে মানিয়ে যাওয়া অজি অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েডকে । ২২ বলে ২২ রান করেন ওয়েড।
পরে দলকে সাফল্য এনে দেন সিরিজে প্রথমবারের মতো একাদশে সুযোগ পাওয়া মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। ৭ বলে ৩ রান করে সাইফুদ্দিনের বলে পরষ্কিার বোল্ড হয়ে যান অ্যালেক্স ক্যারি। এরপর ঠিক ৭ বলে ৩ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন মোজেস হেনরিকেস। পরের ওভারে আবারো উইকেট সাফল্যপান সাকিব। অ্যাশটন ক্যাচ দেন রিয়াদের হাতে। পরে ১২.৩ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫৬/৮-এ।
বল হাতে গোটা সিরিজেই আলো ছড়িয়েছেন নাসুম আহমেদ। পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতেও ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন তিনি। জোড়া আঘাতে দারুণ সূচনা করেছেন নাসুম। ফিরিয়েছেন ওপেনার ড্যান ক্রিস্টিয়ান ও ওয়ান ডাউনে নামা মিচেল মার্শকে।
টাইগারদের দেয়া ১২৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাজে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। নাসুমের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই উইকেট হারান ড্যান ক্রিস্টিয়ান। ফেরার আগে ৩ বলে ৩ রান করেন এই অজি ওপেনার। এরপর মিচেল মার্শকেও ফেরান নাসুম। ৩য় ওভারের পঞ্চম বলে মার্শকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন এই টাইগার স্পিনার। ফেরার আগে ৯ বলে ৪ রান করেন মার্শ।