করোনা রোগীদের চিকিৎসা হবে হোটেলে

Slider ফুলজান বিবির বাংলা


দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে জায়গা হচ্ছে না। তাই হোটেল ভাড়া করে করোনা রোগীদের চিকিৎসার দেওয়ার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক সভার পর এ কথা জানান তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, যারা করোনার মাইল্ড কেস, সেই সমস্ত পেশেন্টের জন্য আলাদা করে হোটেল ভাড়া করা হবে। সেই হোটেলগুলোতে ডাক্তার, নার্স, ওষুধ সব থাকবে, সাথে থাকবে কিছু অক্সিজেন সিলিন্ডার। হাসপাতালে যেহেতু জায়গা নাই, তাই এখন হোটেলগুলো খোঁজা হচ্ছে, যাতে মৃদুভাবে যারা করোনায় আক্রান্ত রোগী, তাদের একটা ব্যবস্থা করা যায়।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘হাসপাতালে সিট বাড়ানোর বিষয়েও কথা হয়েছে, এখন হাসপাতালগুলোতে প্রায় ৯০ শতাংশ সিট রোগী দিয়ে পূর্ণ আছে, সিট সেভাবে ফাঁকা নাই। আইসিইউ ৯৫ শতাংশ ভর্তি আছে, হাসপাতালের সিট বাড়ানো লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ফিল্ড হাসপাতাল গড়ে তোলা হচ্ছে, সেটার কাজ চলমান আছে। সেখানে এখন ৫০০ থেকে ৬গগ বেড হয়তো আয়োজন করা সম্ভব হবে এই মুহূর্তে। পরে একে ১ হাজার বেডে পরিণত করা হবে।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘আজকে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা আহ্বান করেছিলাম। এই সভার উদ্দেশ্য ছিল, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে কো-অর্ডিনেশন ভালো হয়। আগামী ৭ তারিখ থেকে সাত দিনের জন্য বাংলাদেশের প্রত্যকটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে টিকা দেওয়া কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এই সাত দিনের মধ্যে প্রায় এক কোটি টিকা প্রদান করা হবে। এটিই আমাদের উদ্দেশ্য।’

স্বাস্থ্য আরও বলেন, ‘টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে যারা বয়স্ক, বিশেষ করে গ্রামের বয়স্ক ৫০ ঊর্ধ্বের মানুষদের অগ্রধিকার দেওয়া হবে। কারণ তাদের মৃত্যুই বর্তমানে হলো ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ। গ্রামের বয়স্ক মানুষেরাই বেশি মৃত্যুবরণ করছে। এ জন্য টিকা গ্রামের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমাদের হাতে প্রায় সোয়া কোটি টিকা আছে। এ মাসেই আরও প্রায় এক কোটি টিকা আমাদের হাতে আসবে। তখন টিকা কর্মসূচি বজায় থাকবে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়েছে, আমরা যাতে স্থানীয়ভাবে টিকা উৎপাদন করি। ইতিমধ্যে দেশের চায়নার সিনোফার্মের সাথে বাংলাদেশের একটি কোম্পানির টিকা উৎপাদন কার্যক্রম অনেক দূর এগিয়ে গেছে। ভ্যাকসিনের পাশাপাশি মাস্ক পরিধান ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার প্রতি সভায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এই ব্যাপারগুলো বাস্তবায়ন করতে চাইলে পুলিশকেও একটা ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যাতে যারা মাস্ক পড়বে না, পুলিশ তাদের শাস্তির আওতায়ও নিয়ে আসতে পারে বা জরিমানা করতে পারে। এই বিষয়ে একটি অধ্যাদেশ দেওয়া হবে, সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘শিল্প কারখানা যেভাবে খুলে দেওয়া হয়েছে, সেইভাবে আস্তে আস্তে বাকি শিল্প খুলে দেওয়া হবে। সেই সাথে ট্রান্সপোর্ট, অফিস খুলবে, তবে তা ধাপে ধাপে খোলা হবে। এর ডিটেইল নির্দেশনা পরে দেওয়া হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *