ষ্টাফ করেসপনডেন্ট
গ্রাম বাংলা নিউজ২৪.কম
গাজীপুর অফিস: গাজীপুরে পলাশী দিবস উপলক্ষে জিয়া পরিষদের এক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, আজীবন ক্ষমতায় থাকতে আওয়ামীলীগ একদলীয় বাকশাল কায়েমের যে ষড়যন্ত্র করছে এবং সংসদের বাইরে থাকা রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের ওপর যেভাবে সিমাহীন অত্যাচার-নির্যাতন চালাচ্ছে তার প্রতিবাদে এবং লুণ্ঠিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নেমে আসতে হবে। তারা বলেন, পলাশির মতোই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। গণতন্ত্রের যে সূর্য অস্তমিত হয়েছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে তা আবারো উদিত হবে। পলাশীর প্রান্তরে যুদ্ধের নামে যে প্রহসন হয়েছিল বেদেশী প্রভুদের স্বার্থ রক্ষার জন্য ৫ জানুয়ারির ভোটের প্রহসনও একই সূত্রে গাঁথা।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় গাজীপুর মহনগরের বোর্ডবাজারস্থ ফকরুদ্দিন মিলনায়তনে পলাশি দিবস উপলক্ষে মহানগর জিয়া পরিষদ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
‘অরক্ষিত স্বাধীনতা ও কালের কাণ্ডারী নবাব সিরাজ থেকে তারেক রহমান’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তবে বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং স্বাধীনতার ঘোষক বই প্রকাশ করে তারেক রহমান মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্কে মানুষের চোখ খুলে দিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশ গভীর ষড়যন্ত্রের কবলে। গ্রেফতার নির্যাতনকে এই সরকারের উপহার মনে করে দেশকে মুক্ত করতে তরুণ সমাজসহ সকলকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে রাজপথে নেমে আসতে হবে। হয় নির্বাচন; না হয় আন্দোলনের মাধ্যমে অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে হবে। তিনি বলেন, দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী শক্তিকে এই আন্দোলনে জিতইে হবে, এর কোন বিকল্প নেই। স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে আরেকটি পলাশির জম্ম হতে দেয়া যাবে না।
গাজীপুর মহানগর জিয়া পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এম আজিুজুল হক রাজু মাস্টারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দৈনিক আমার দেশের নগর সম্পাদক এম. আব্দুল্লাহ, জিয়া পরিষদের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মাজহারুল আলম,শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় নেতা মোঃ আবু তাহের, টঙ্গী সচেতন নাগরিক পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শাহাব উদ্দিন সিদ্দিকী, বিএনপি নেতা মোশারফ হোসেন খান, আলহাজ এম.এ হামিদ,জয়নাল আবেদীন তালুকদার,জিয়া পরিষদ নেতা আসাদুজ্জামান সোহেল, ইঞ্জিনিয়ার আজহারুল ইসলাম খন্দকার, মফিকুর রহমান সেলিম,আব্দুর রহিম খান কালা, যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর হাজারী, মোশারফ হোসেন ভূইয়া, ছাত্রদল নেতা জিয়াউল হাসান স্বপন, নাজমুল খন্দকার সুমন,জাহাঙ্গীর আলম,ফারুক হোসেন খান, তাজুল ইসলাম তাজু,আবুল হাসেম, ইঞ্জিনিয়ার ইদ্রিস প্রমুখ।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় সাংবাদিক এম. আব্দুল্লাহ বলেন,পলাশী দিবস ২৩ জুন বার বার ফিরে আসে কালো অধ্যায় হিসেবে। বিচারপতি খায়রুল হকের রায় ও ৫ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এদেশে আবারো পলাশীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়। চর্তুদিকে মীর জাফরদের ছায়া দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, শাপলা চত্ত্বর ট্র্যাজেডি এবং মার্চ ফর ডেমোক্রেসির দিন বেগম খালেদা জিয়ার আহবান ছিল ষড়যন্ত্রকারীদের কবল থেকে গণতন্ত্রকে রক্ষা করার। সেদিন যদি তার ডাকে সাড়া দিয়ে সকলে রাজপথে নেমে আসতেন তাহলে গণতন্ত্র ও জানমালের এতো ক্ষতি হতো না। তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের ব্যাপারে সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, গণতন্ত্রের যে সূর্য অস্তমিত হয়েছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে তা আবারো উদিত হবে।
জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মাজহারুল আলম বলেন, পলাশীর প্রান্তরে যুদ্ধের নামে যে প্রহসন হয়েছিল বেদেশী প্রভুদের স্বার্থ রক্ষার জন্য ৫ জানুয়ারির ভোটের প্রহসনও একই সূত্রে গাঁথা। তিনি বলেন, নবাব সিরাজের আত্মত্যাগের মাধ্যমে জাতি যেভাবে অরক্ষিত স্বাধীনতা রক্ষার প্রেরণা পেয়েছিল, সাত সমুদ্র তের নদীর ওপাড়ে নির্বসিত তারেক রহমানের কাছ থেকেও বার্তা পেয়ে একইভাবে জাতি অনুপ্রাণিত হচ্ছে। তিনি পলাশীর ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।