কামরাঙ্গীরচরে বাসা থেকে মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার

Slider বাংলার মুখোমুখি

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর নয়াগাঁও এলাকার একটি বাসা থেকে মা ফুলবাশি রানী (৩৫) ও তার মেয়ে সুমি রানীর (১১) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সকালে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ ফুলবাশির স্বামী মুকুন্দ চন্দ্র দাস (৩৬) ও তার বড় মেয়ে ঝুমা রানী দাসকে (১৪) আটক করেছে। কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, মুকুন্দ চন্দ্র দাস ভ্যানগাড়িতে করে সবজি বিক্রি করতেন। মাঝে মাঝে তিনি ঠেলাগাড়িও চালাতেন। ধারণা করা হচ্ছে, শুক্রবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় শ্বাসরোধ করে ফুলবাশি ও মেয়ে সুমিকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। সুরতহাল শেষে মরদেহ দুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।

পরিবার ও প্রতিবেশীদের বরাতে ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বড় মেয়ে ঝুমা ভোর ৫টার দিকে ঘুম থেকে উঠে মা এবং বোনকে অচেতন অবস্থায় দেখে চিৎকার শুরু করে। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ঘরে এসে দেখেন মা-মেয়ে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে।

সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *