চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানে সরকারের প্রতি নাগরিক সমাজের সংলাপে প্রস্তাবকে ‘অবাস্তব ও অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। মন্ত্রী বলেন, এই প্রস্তাবের মধ্য দিয়ে সরকারকে নাশকতাকারীদের কাতারে দাঁড় করানো হচ্ছে। মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা বলেন। এর আগে গতকাল সোমবার চলমান সঙ্কট অবসানের লক্ষ্যে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা স্বাক্ষরিত তিনটি চিঠি প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বরাবর পাঠানো হয়। এই বিষয়ে মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বাণিজ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, যে সংলাপের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে তা অবাস্তব ও অগ্রহণযোগ্য। এর কারণ ব্যাখ্যা করে প্রবীণ এই রাজনীতিক বলেন, এইসব ব্যক্তিবর্গ সন্ত্রাস, নাশকতা, জঙ্গি তৎপরতাকে আড়াল করার জন্য এবং যে দলটি নাশকতা, সন্ত্রাস ও জঙ্গি তৎপরতা চালাচ্ছে, তাদেরকে একটি গণতান্ত্রিক সরকারের সঙ্গে এক কাতারে দাঁড় করানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। সুতরাং এটি গ্রহণযোগ্য নয়। শামসুল হুদা কেন, আর যে কেউ এ উদ্যোগ গ্রহণ করুক তা বাস্তব সম্মত নয়। আপনারা লক্ষ্য করেন, যিনি খালেদা জিয়াকে যে কথা বলেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টকেও একই কথা বলেছেন, তার মানে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কি আমরা এককাতারে দাঁড়ানো? তিনি বলেন, যারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে, নাশকতা চালায়, মায়ের কোল খালি করে, যারা নিরীহ-নিরপরাধ মানুষকে পেট্রলবোমা মেরে হত্যা করে, তাদের সঙ্গে সংলাপের প্রশ্নেই আসে না। তোফায়েল বলেন, পৃথিবীতে যদি সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংলাপ হত, তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আইএস-এর সঙ্গে বৈঠক করত। এই সংলাপের কথা যারা বলেছে ইনডাইরেক্টলি তারা সন্ত্রাসকে, নাশকতা ও জঙ্গি তৎপরতাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। এ সংলাপ করা হলে ভবিষ্যতে সন্ত্রাস, নাশকতা ও জঙ্গি তৎপরতাকে উৎসাহিত করা হবে। চলমান সঙ্কট আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে বলে তিনি জানান।