বগুড়া: বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে ৪ জন আহত হয়েছে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করে।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা লাগাতার ৭২ ঘণ্টা হরতালের তৃতীয় দিনে মঙ্গলবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপরে সোনাতলা উপজেলা শহরে পিকেটিংকে কেন্দ্র স্থানীয় বিএনপি-যুবদল ও আওয়ামী লীগ-যুবলীগের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে যুবলীগের দুই নেতাসহ কমপক্ষে ৪ জন আহত হন। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দুই বিএনপি সমর্থক ও এক যুবদল কর্মীকে আটক করে। এর আগে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শর্টগানের গুলি ছুড়ে।
আহতরা হলেন-পৌর যুবলীগের সভাপতি মসশিউর রহমান মাছুদ ও সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কুমার। তাদের আহতবস্থায় সোনাতলা উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
আটককৃতরা হলেন- বিএনপি সমর্থক আপেল মাহমুদ (২৮), সোহেল রানা (২৫) ও যুবদল কর্মী দেলোয়ার (২২)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উল্লেখিত সময়ে বিএনপি-যুবদল নেতাকর্মী ও সমর্থকরা হরতালের সমর্থনে পিকেটিং করার চেষ্টা করলে আওয়ামী লীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা তাতে বাধা দেয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ লাঠিসোঠা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ সময় উল্লেখিত দুই যুবলীগ নেতাসহ অজ্ঞাত পরিচয় এক বিএনপি সমর্থক ও পথচারী আহত হন। ঘটনার ধারবাহিকতায় বিএনপি সমর্থকরা সোনাতলা শহরের ঘোড়পীড় এলাকায় অবস্থিত পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি শাজাহান আলীর বাসভবনে ককটেল নিক্ষেপ করে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া খেয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা হটে গেলে পরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে প্রবেশ করে সেখানে ব্যাপক ভাংচুর করেন। ভাংচুরের পর পুলিশ ঘটনাস্থল এলাকায় পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশ বিএনপি ৩ জনকে আটক করে।
সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বাংলানিউজকে জানান, সংঘর্ষের খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৫/৬ রাউন্ড গুলি করা হয়েছে। ঘটনার পর পর ঐ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করেছে স্থানীয় প্রশাসন।