এরফান সরদার, মাদারীপুরের কালকিনির এ বাসিন্দা মারা গেছেন ১৯৭০ সালে। স্বাধীনতার আগে মৃত্যু হওয়া এ নাগরিক লকডাউনের নিয়ম ভাঙার অপরাধে ১০০ টাকা জরিমানা দিয়েছেন। দোকান খোলা রাখার অপরাধে ৫১ বছর আগে মৃত্যু হওয়া একজন ব্যক্তি কীভাবে জরিমানা দিতে পারেন- বিষয়টি খুবই আশ্চর্যজনক হলেও শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা গেছে, শনিবার সকালে কালকিনির ডাসার বাজারে অভিযান চালান কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান। দোকানপাট খোলা রাখা ও বাইরে ঘোরাঘুরি করার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কয়েকজনকে জরিমানা করেন তিনি। এ সময় ৬৬ বছর বয়সী সিঙাড়া বিক্রেতা ছালাম সরদারকে দোকান খোলা রাখার অপরাধে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল আইনে ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
তবে, জরিমানার রশিদে দোষী হিসেবে ছালাম সরদারের নাম না লিখে তার মৃত বাবা এরফান সরদার নাম লেখা হয়। বাবার পক্ষে জরিমানার একশ টাকা পরিশোধ করেন ছালাম সরদার। তিনি জানান, ঘরে খাবার না থাকায় বাধ্য হয়ে কিছু সিঙাড়া বিক্রির জন্য শনিবার সকালে দোকান খোলেন তিনি। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত গিয়ে তাকে জরিমানা করে। অথচ, ওই সময় পর্যন্ত তার ১০০ টাকা বিক্রিও হয়নি। জরিমানার রিসিট দেওয়া হলে তিনি দেখতে পান কাগজে তার পরিবর্তে তার মৃত বাবার নাম লেখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ছালাম সরদার বলেন, আমার বাবা এরফান সরদার ১৯৭০ সালে মারা গেছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত এমনটা কেন করল জানি না।
জানতে চাইলে কালকিনি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান বলেন, ‘ওটা ভুল করে হয়ে গিয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখলে লোকজন দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। অনেকে ভয়ে নিজের নাম না দিয়ে বাবার নামও বলে দেয়।’
তিনি আরও জানান, গতকাল শনিবার উপজেলার বেশ কয়েকটি স্থানে সহকারী কমিশনারসহ (ভূমি) চালানো যৌথ অভিযানে ১৯টি মামলায় ১৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।