শ্রীপুরে আকন্দ বাড়ি পুকুরে বরশী দিয়ে মাছ শিকার বসেছে শিকারীরা

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

রাতুল মন্ডল নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গাজীপুরের শ্রীপুরে মাছ ধরার উৎসবে মেতে ওঠেছেন সৌখিন মৎসশিকারিরা। শনিবার(১২ জুন) সকাল ছয়টা থেকে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের সাতখামাইর এলাকার ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য নাজমুল আকন্দ রনির মৎস খামারে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়।ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই মৎস শিকারিরা জড়ো হয়েছেন পুকুর পাড়ে। তাঁদের হাতে ছিল বড়শি ছিপ, আবার কারও হাতে মাছের খাবার। প্রবাদ আছে আমরা মাছে ভাতে বাঙালি। তাই প্রাচিন কাল থেকে বাঙালিরা কেউ সখের বসে, আবার কেউবা বাণিজ্যিকভাবে পেশাগত কারণে মাছ শিকার করে আনন্দ পায়। তবে সখের বসে মাছ শিকার আনন্দ পায় অনেকে। তাই প্রচুর টাকা পয়সা খরচ করে চলে আসেন মাছ শিকারে।

মাছ ধরার উৎসবে অংশ নেয় দেশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত ৩৪ জন মৎস শিকারি। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত টানা ১২ ঘণ্টা চলেবে মাছ শিকার।

এই মাছ ধরার উৎসবে বরশীতে ধরা পড়ে রুই, কাতল, বৃকেট, মৃগেল, তেলাপিয়া, কালবাউশ, পাংগাস সহ দেশি প্রজাতির মাছ।

সরেজমিনে দেখা যায়, পুকুরের দুই পাড়ে বাঁশ ও কাঠের পাটাতন দিয়ে ১৭ টি মাচা করা হয়েছে। প্রতিটি মাচায় দুই জন করে মাছ ধরতে বসেছেন। প্রতি মাচার ফি ৬ হাজার টাকা করে।পুকুরের পাড় ঘুরে নানা বয়সী মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্ষা মৌসুমে পানি ঘুলা থাকায় মাছ তেমন ধরা পড়েনি।

ঢাকা মিরপুর ও উত্তর খান থেকে আগত মৎস শিকারী মুকুল ও রবিউল বলেন, যে আশা নিয়ে তাঁরা মাছ শিকারে এসেছিলেন, তা পূরণ হয়নি। কম মাছ ধরা পড়েছে।এখানে মাছ ধরতে এসে খরচ হয়েছে ১০ হাজার টাকা। খরচ ওঠেনি তবে আনন্দ হয়েছে।

উপজেলার ডালেশ্বহর থেকে আসা মৎস শিকারি আবদুল আওয়াল বলেন, ‘মাঝারি ও ছোট আকৃতির মাছের সংখ্যা বেশি।এখানে কয়েকজন ৫ কেজি ওজনের কাতল পেয়েছেন।
ময়মনসিংহ থেকে আসা মাছ শিকারী মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, পুকুরের পানি অপরিষ্কার থাকায় তেমন মাছ ধরা পড়েনি। তবে কেউ কেউ ভালো মাছ ধরেছেন।
মৎস খামারে মালিক স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. নাজমুল আকন্দ রনি বলেন,আমি পুকুরটি লিজ নিয়ে মাছের চাষ করেছি।এখানে এক কেজি থেকে আট কেজি ওজনের মাছ রয়েছে। সুন্দর মনোরম পরিবেশে মাছ শিকারের আনন্দ পেতে এ আয়োজন করা হয়েছে। গত বছরেও আয়োজন করেছিলাম আগামী বছরেও এ প্রতিযোগিতা চলবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *