পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের অক্সফোর্ড -অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজের টিকার ঘাটতি পূরণে বিভিন্ন দেশকে টিকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। সবাই বলছে টিকা দিবে কিন্তু কবে দিবে সেটা বলছে না। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের কাছে ঔষধ সামগ্রী হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মার ওই অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার অনেক টিকা আছে জেনে সঙ্গে সঙ্গে তাদের অনুরোধ করলাম। পরে জানা গেল, করোনা ভাইরাসে বাংলাদেশে মৃত্যুর সংখ্যা কম বলে যে দেশগুলোতে টিকা দেয়া হবে তা অগ্ৰাধিকারের তালিকায় নেই। পরে অবশ্য আমরা জেনেছি আমাদের কিছু অ্যাস্ট্রাজেনেকা দিবে। এছাড়া কোভ্যাক্স থেকেও কিছু টিকা পাওয়ার আশ্বাস পেয়েছি, কিন্তু কবে পাবো সেটা বলেনি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে টিকা পাওয়ার ব্যাপারে আমরা খুবই আশাবাদী।
প্রসঙ্গত যুক্তরাষ্ট্র কোভ্যাক্সের আওতায় বিভিন্ন দেশে যে টিকা দিচ্ছে, তাতে অগ্ৰাধিকার তালিকায় আছে বাংলাদেশ। খুব শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রের উপহারের এ টিকা বাংলাদেশ আসবে বলে জানিয়েছেন ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার।
করোনার টিকা সার্বজনীন করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রথম থেকে বলে আসছেন টিকা যেন সার্বজনীন পণ্য এবং সব দেশের লোকের বৈষম্যহীনভাবে তা পাওয়া উচিত। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে মোট টিকার ৯৯ দশমিক শতাংশ আছে ধনী দেশের কাছে এবং মাত্র শূন্য দশমিক তিন শতাংশ গরীব দেশগুলোর কাছে। অনেকে টিকার জন্য হাহাকার করছে। অস্ট্রেলিয়ার ২৫ মিলিয়ন লোকের জন্য ৯৩ দশমিক আট মিলিয়ন টিকা মজুত থাকার রিপোর্ট পেয়েছেন দাবি করে মন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের কাছেও টিকা চেয়েছি। তারাও বলেছে দিবে। কিন্তু কবে দিবে সেটাই দেখার বিষয়।