করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সাতক্ষীরায় গতকাল শনিবার থেকে শুরু হয়েছে এক সপ্তাহের লকডাউন। এটি বাস্তবায়নে পুলিশের চেকপোস্টসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল বাড়ানো হয়েছে জেলাজুড়ে -আমাদের সময়
দেশের বিভিন্ন স্থানেই ছড়িয়ে পড়ছে করোনার ডেল্টা ধরন (ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট)। এরই মধ্যে সাতজনের দেহে বিপজ্জনক ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলাতে। তারা সবাই আবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা। আশ্রয়ণ প্রকল্পে শ্রমিকের কাজ করতে এসেছিলেন। করোনার ডেল্টা ধরন সংক্রমণ ধরা পড়েছে গোপালগঞ্জেও। ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে দেশের অন্যান্য জেলাতেও। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক, জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধির পাঠানো খবরে এ তথ্য জানা যায়।
নবাবগঞ্জ (ঢাকা) : ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে কাজে আসা সাত শ্রমিকের শরীরে করোনা ভাইরাসের ডেল্টা ধরনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। গতকাল শনিবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘এ সাতজনের ডেল্টা ধরনে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি আইইডিসিআর জানিয়েছে।’ জানা যায়, বিভিন্ন বয়সী ৬৩ শ্রমিক চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ট্রাকে করে গত ১৮ মে নবাবগঞ্জের কৈইলাইল ইউনিয়নের মাতাবপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পে কাজের জন্য আসেন। পরে তাদের মধ্যে কয়েকজনের জ্বর, ঠা-া ও কাশিসহ করোনা ভাইরাসের সংক্রমিত হওয়ার বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শহিদুল জানান, ২৩ মে খবরটি জানতে পেরে তারা গিয়ে নমুনা পরীক্ষা করতে চাইলে শ্রমিকরা প্রথমে রাজি হননি। পরে ২৬ মে ইউএনও এবং স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় আলাদাভাবে মেডিক্যাল টিম গঠন করে ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১০ জনের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হলে ফলাফল ‘পজিটিভ’ আসে। তাদের শরীরে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যেতে পারে এমন ধারণা থেকে সেদিনই ঢাকার আইইডিসিআরে সেই নমুনা দেওয়া হয়। পরে ওই ১০ জনের মধ্যে সাতজনের শরীরে ভারতীয় ধরন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। এই ১০ জনকে ঢাকার বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান ডা. শহিদুল ইসলাম।
গোপালগঞ্জ : আইইডিসিআরের বরাতে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন করোনার ভারতীয় ধরন শনাক্তের খবরটি নিশ্চিত করেন।