ঢামেক মর্গে ৯দিন পরে থাকা লাশটি ঢাবি শিক্ষার্থীর

ঢাকা


ঢাকা: নিখোঁজের ৯দিন পর ঢাকা মেডিকেলের মর্গ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় হাফিজুরের বড় ভাই ও বন্ধুরা তার লাশ শনাক্ত করে। এর আগে গত শনিবার ঈদুল ফিতরের পরদিন ক্যাম্পাসে সর্বশেষ আড্ডা দিয়েছিলেন হাফিজুর। ওইদিন বিকেল থেকে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। হাফিজুরের লাশ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানী। তিনি বলেন, আমাদের নিখোঁজ শিক্ষার্থী হাফিজের লাশ ঢামেক হাসপাতালের মর্গে পাওয়া গেছে। লাশটি তার বড় ভাই ও বন্ধুরা শনাক্ত করেছেন। এ ঘটনায় আমরা খুবই মর্মাহত।

হাফিজুর ঢাবির তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি একজন মূকাভিনয় শিল্পী ও ঢাবির মাইম অ্যাকশনের সাধারণ সম্পাদক।
জানা গেছে, ঈদের পরের দিন শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে হাফিজুরকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। পরে সেদিনই তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে মারা যান। পরে লাশের কোন ওয়ারিশ না পাওয়ায় হাসপাতালের মর্গে রেখে দেয়া হয়। এ ঘটনার ৯ দিন পর রোববার তার সহপাঠীরা হাসপাতালের মর্গে এসে লাশ শনাক্ত করেন।

হাফিজুরের বন্ধুরা জানান, ঈদুল ফিতরের পরদিন অর্থাৎ গত শনিবার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। এরপর বন্ধুদের সঙ্গে ক্যাম্পাস এলাকায় আড্ডা দেন। তার মায়ের সঙ্গে সর্বশেষ কার্জন হলের সামনে বসে মোবাইলে কথা বলেছিলেন। এরপর থেকে তার মোবাইল বন্ধ রয়েছে। বাড়ি থেকে ঢাকা ফিরে ওইদিনই রাত ৮-৯টার দিকে হাফিজুর ব্রাহ্মণবাড়িয়া চলে যাওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠেছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *