গাজায় ১১ দিনের যুদ্ধে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি

Slider সারাবিশ্ব

ইসরাইলের সাথে টানা ১১ দিনের যুদ্ধের পর গাজায় মানবিক পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঙ্ঘের কর্মকর্তারা।

যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ায় ফিলিস্তিনিরা এখন রাস্তাঘাট থেকে ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনগুলোর ইট-পাথর পরিষ্কারের কাজ করছে। এ ছাড়া যুদ্ধের সময় ঘর-বাড়ি ছেড়ে যাওয়া হাজার হাজার মানুষ ফিরছে তাদের নিজ গৃহে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিনকেন আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার ইসরাইল এবং অধিকৃত পশ্চিম তীর সফরে যাবেন বলে জানা গেছে। গাজায় অবকাঠামো পুননির্মাণে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।

এ দিকে গাজায় ১১ দিন পর এই প্রথম শুক্রবার রাত ছিল শান্ত। গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ফিলিস্তিনিরা ওই রাতটি শান্তিপূর্ণভাবেই পার করেছে। ইসরাইলের দিক থেকে কোনো বিমান হামলা চালানো হয়নি। এ ছাড়া হামাসও কোনো রকেট হামলা চালায়নি ইসলাইলের কোনো শহরে।

শুক্রবার থেকে যুদ্ধবিরতি বলবৎ হওয়ার পর দ্বিতীয় দিন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থেকে সেই সমঝোতা ভঙ্গের অভিযোগ ওঠেনি।

এ দিকে শুক্রবার ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে বেশ কয়েকটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, সংঘর্ষে ২৪৮ জন ফিলিস্তিনি এবং ১২ জন ইসরাইলি নিহত হয়েছে। আহত লোকজনকে সরিয়ে আনার জন্য করিডোর তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

জাতিসঙ্ঘ বলছে, সর্বশেষ এই যুদ্ধে ৮০ হাজারের মতো মানুষ স্থানচ্যুত হয়েছে এবং তাদের কেউ কেউ এখন নিজেদের বিধ্বস্ত বাড়িতে ফিরে আসার চেষ্টা করছে। তবে গাজায় ইতোমধ্যেই মানবেতর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

এই ক’দিনের যুদ্ধে গাজায় পানির অনেক পাইপলাইন ধ্বংস হয়ে গেছে, বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বিদ্যুৎ সংযোগ। ইসরাইল সীমান্তের একটি জায়গা আংশিকভাবে খুলে দেয়ার পর ৫০টির মতো লরি জরুরি খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে গাজায় প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছে।

সাহায্য সংস্থাগুলো অনুমান করছে, ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়িঘরও অবকাঠামো পুনরায় নির্মাণ করতে কোটি কোটি ডলার খরচ হবে এবং এই কাজটি করতে লেগে যাবে কয়েক বছর।

সূত্র : বিবিসি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *