একসময়কার বহুল আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তার। নিজ স্ত্রী হত্যার অভিযোগে এখন রয়েছেন রিমান্ডে। অভিযোগ ওঠেছে পরকীয়ার কারণেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটান তিনি। চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় দায়ের করা মামলায় নিহত মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন এ অভিযোগ করেন। ভিনদেশি এক এনজিও কর্মী কক্সবাজারে কর্মরত থাকার সময় বাবুল আক্তারের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। তিনি বর্তমানে সুইজারল্যান্ডে কর্মরত রয়েছেন এমন আলোচনা রয়েছে। তবে তার অবস্থান সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ। বাবুল আক্তার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কক্সবাজার জেলায় চাকরি করার সময় ওই নারীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়।
সেখানে তাদের মধ্যে একটি সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের বিষয়টি জানাজানি হয় ২০১৪ সালে। সেসময় বাবুল আক্তার সুদানে জাতিসংঘের মিশনে যান। তখন তার বাসায় দুটি বই উপহার পাঠান ওই নারী। বাংলাদেশে রেখে যাওয়া বাবুলের মোবাইলে একাধিক মেসেজও পাঠান তিনি। একটি বইয়ে ওই নারী লিখেছেন- আমাদের ভালো স্মৃতিগুলো অটুট রাখতে তোমার জন্য এই উপহার। আশা করি এই উপহার আমাদের বন্ধনকে চিরস্থায়ী করবে। ভালোবাসি তোমাকে…। ওই নারী বাবুল আক্তারের সঙ্গে কাটানো সময়ের স্মৃতিচারণও করেন। মিতুর বাবা জানান, এসব ঘটনায় বাবুল ও মিতুর পারিবারিক অশান্তি চরমে পৌঁছে। বাবুলের এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করলে তিনি মিতুকে নির্যাতন করেন বলে মিতু মৃত্যুর আগে তাদের জানান।